এর চেয়ে যাযাবর হয়ে থাকাই ভাল

ও চলে গেল।
একদিনের সিদ্ধান্তে দেশ ছাড়া যায়, তা ওকে না দেখলে বুঝতাম না!

চা খেতে খেতে কথা হচ্ছিল। বলল, আমি কালকে এ দেশ ছাড়ব।
বললাম, প্রস্তুতি আছে?
বলে, প্রস্তুতি লাগবে না।
ভাবলাম, ক্ষোভের কথা, যাতনার কথা, যাবে আর কই?
সত্যি চলে গেছে। একটু আগে মেসেজ পাঠিয়ে বলল, ভিসা লাগে না এমন একটি দেশে চলে এসেছি।
তেমন টাকা পয়শাও হাতে নেই। সমস্যা হবে না। একটি হোটেলে উঠেছি, ভাগ্য ভাল এখানকার লোকে ইংরেজি জানে। ওদের বলেছি, আমি তোমাদের রেস্টুরেন্টে কাজ করে দিব, বিনিময়ে থাকা খাওয়া দাও। ওরা রাজি হয়েছে।

– জিজ্ঞেস করলাম, হঠাৎ গেলি কেন? খুন খারাবি হচ্ছে এজন্য?
– না, খুন খারাবি হচ্ছে এজন্য না।
– তাহলে, তীব্র প্রতিবাদ হচ্ছে না, সেজন্য?
– না।
– তাহলে?
– প্রতিবাদের ভাষাটা শুনেছিস?
অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দকীর হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সবাই বলছে, “তিনি তো ব্লগার ছিলেন না, তিনি তো নাস্তিক ছিলেন না”
এর চেয়ে ঘৃণ্য আর কী হতে পারে?
তার মানে একটি খুনের প্রতিবাদকারীরা অন্য খুনকে সার্টিফাই করছে, করছে না? এটা কি কাণ্ডজ্ঞানহীনতা? নাকি আত্মকেন্দ্রিকতায় আমরা এতটাই নিমগ্ন যে, খুনের প্রতিবাদের ভাষাটাও আমরা আবিষ্কার করতে পারছি না। প্রতিবাদ করছি খুনিদের ভাষাতেই। এসব সহ্য করা যায় না।