পারলে শোধ দিও
বা’ বুকের কোণে আর কোন
নাম লেখা হয়নি
সমুদ্র-তটে আর কারো সাথে পা ভেজাইনি
ভরা জোছনায় পাশের চেয়ারটা খালিই থাকে।
মাঝরাতে জেগে উঠে একটি
নামেই ডেকেছি।
বসন্তের বিষণ্ণ সৌন্দর্য্ উপভোগেও একাই।
দখিনা বাতাসের নরম ছোঁয়া
ভোরের পূবালী হাওয়া
গোধূলী লগ্নে সন্ধ্যার অপরূপ রূপ
উপভোগে একাই থাকি।
বনে কিংবা নদীর ধারে
একাই পথ চলা
নব্য ঢাকার অশান্তিময় জ্যামে
হুডতোলা রিকসায় একাই।
গভীর সুনসান রাতে হুতুম পেঁচার
গা শিরশিরানো ডাকে
ভয়ে মুখ লুকানো হয়নি
অন্য কারো লোমস বুকে।
আর কারো হাত ধরে নয়,
একাই হাটি রমনায়
এক কাপেই ধূমায়িত কফি
একাই বকুল কুড়াই।
পথভুলো ক্ষণিকের প্রেমিক!
তবু নিয়ে গেলে একটা পুরো জীবন
এ জীবনে নয়, আরেকটা জীবনে
পারলে শোধ দিও।
কথা রাখোনি
চল্লিশে তুমি হারিয়ে যাবে বলেছিলে
খুঁজে পাবোনা কোথাও।
হ্যা, ঠিকই বলেছিলে
জোছনায় খুঁজি, নেই।
বৃষ্টিতেও নেই
গোধুলির কনে দেখা আলোতেও নেই
এক দৃষ্টিতে চেয়ে
বলবে-তুমি সুন্দর, খুব সুন্দর
শুধু আমাকে বলার জন্য
তুমি নেই।
চাঁদে নেই, সমুদ্রে নেই, পাহাড়ে নেই
শীতে নেই, বর্ষায় নেই
দু’চোখের সামনে নেই
শুধু আছো-বিশ্বাসে, নি:শ্বাসে।
লাল শাড়ীর তরুণীটির পাশে
চল্লিশের তোমাকেও মানিয়েছে বেশ
বলেছিলে তুমি চল্লিশেই হবে শেষ।
অনুক্ষণে অনুভব
ফিসফিসিয়ে বলিনি, কানেকানেও নয়।
মুখোমুখি শব্দাচ্চোরণে
শুধু সাতের চাওয়া সাতাশে
পরিণত মনে অপরিণত ইচ্ছা
রঙিন একটা
হাওয়াই মিঠাই আর আমি
পিচঢালা পথের জনারণ্যে
হুডখোলা রিকসায়
পাশে তুমি
স্পষ্ট শব্দাচ্চোরণে আমার ভালবাসা
মুক্তি পায়নি।
আজো অনুভূত অনুক্ষণে।