গল্প এলোমেলো
এক পৃষ্ঠাতেই সবটা লিখবো আমি
পেয়ে হারানোর কষ্ট।
এক বিকেলেই সবটা বলবো আমি
রঙিন ঘুড়ির লাটাই সমেত গল্প।
এক প্রভাতে সবটা শিশিরে ভিজে পায়ে
আকঁবো আমি
যাত্রা শুরু-অন্তিমের সবটা কাহিনী।
পড়ন্ত দুপুরে দেখে নিবো ঘুমের রাজ্যে
তোমার-আমার সবটা সুখের স্বপ্ন-পৃথিবী।
সন্ধ্যা নামাবো দু’কাপ চা’য়ে
তোমার আমার গল্পেরা অতিথি।
তারাদের ঘরে
চাঁদের সাথে এলোমেলো গল্পের ফাঁদে
কাটুক সবটা রাত।
জাগলেইবা কী মনের ঘরে মন-পৃথিবী
পুরোটাই তোমার ঘরে আমার বসতি।
অপুর্ণতায় তারার স্বপ্ন
সুখস্মৃতি!
সেতো অনেক কিম্বা ‘অনেক’র চেয়েও বেশি
সুখের সম্ভারে ভালবাসার আস্তরণ
ঠিক আমার মতো, ভালবাসার দেবী!
সুখের আবরণে কিম্বা ভালবাসার আস্তরণে
কতটা বিশ্বাস মিশালে
অথবা মায়ায় জড়ালে সুখস্মৃতি হয়?
নুপুর নিক্কণে, জোনাকির আলোয়
ঝরাপাতার নরম শব্দে, কঁচিপাতার মৃদু ঘ্রাণে
বসন্তের রোমাঞ্চকর হাওয়ায়, বৃষ্টির নৃত্যে
সমুদ্রের উচ্ছলিত ঢেউয়ে, নদীর শান্ত রূপে
সবুজের দিগন্তে, গোধূলির সোনালী আভায়
আমি সুখ কুড়াতাম।
চেয়েছিলাম
সুখকে স্মৃতির ফ্রেমে বাধাতে নয়
হাতের মুঠোয় স্বপ্ন নিয়ে একটু একটু করে
বেলা শেষের সূর্যটার রক্তাভ আভায়
সবক’টা সুখের আবীর ছড়িয়ে
সুখস্মৃতির পূর্ণতা দিতে।
অসুরের বিনাশ
আকস্মিক জলোচ্ছ্বাস জানিয়ে দেয়
একদিন তুমিও পাখির সুরে গাইতে
তোমার আকাশেও ভোর ছিলো
রক্তিম আভায় সোনা রোদ্দুরের
দূরন্ত খেয়ালে গোধূলি মেখে
দিগন্ত ছোঁয়ার।
তোমার চোখের জলোচ্ছ্বাস জানিয়ে দেয়
একদিন তুমি আবৃত ছিলে
বিশ্বাস আর ভালবাসার মিশ্রিত উচ্ছ্বাসে
উচ্ছলিত উল্লাসে বসন্তের গানে নৃত্য করতে
বিশ্বাসের সঙ্গী হয়ে ভালবাসার আস্তরণে।
আকস্মিক জলোচ্ছ্বাস জানিয়ে দেয়
তোমার সব হারানো
প্রেম-কাব্য সমৃদ্ধ আজ
স্রোতের প্রতিকূলে গুণটানা
ভারবাহী নৌকার মাঝিটির
কঠিন সঞ্চারি হাসির মতো।
ভাসিয়ে দাও সবটুকু আসুরিক বন্ধন
তোমার সব নিংড়ানো
আকস্মিক জলোচ্ছ্বাসে।