এ কেমন জ্যোৎস্নার আলো
জ্বালাময়ী গৃহ ভুলানিয়া !
দীপ্তিতে ডুবেছে কবি হৃদয়;
ক্ষণিকের ছায়া প্রচ্ছায়ায়
গ্রাস করেছে পৃথিবীর কায়া!
জ্বালাময়ী দ্বীর্ঘশ্বাস হয়ে
ছুঁয়ে দিয়েছে আকাশ, বাতাস
পাহাড়, সমুদ্র আর নদী!
ভিজিয়ে দিয়েছে জ্বল জ্বলে
জ্যোৎস্নায় অবুঝ সবুজের সারি ।
ও চাঁদ কেন ছড়ালে এমন আলো?
জ্বলসে যায় মৃত্তিকার বুকের
শূন্যতার দৈর্ঘ্য প্রস্থ ব্যাধ,
হে জ্বালাময়ী তোমার ইন্দ্রজাল
রচিছে বিচ্ছেদ সুন সান
মৌণতা এ’মধ্য যামির নীরবতায়!
কবিতার হৃদয়ের প্রতিবিন্দুতে
ব্যথার বর্ণমালায় জ্বালাময়ী সাজ !
হে মাতাল হাওয়ার জ্বালাময়ী রাগিনী;
নীলের প্রতিচ্ছায়ায় অদ্ভুত বিসৃত
বেদনার নীল মুখশ্রী তোমার ।
ছন্নছাড়া চঞ্চল রাত পাখিটির চোখও
বুঝে নিয়েছে তুমি জ্বালাময়ী ।
সমাপ্তির ধারায় এসেছ তুমি
প্রকৃতির নিয়মে , তবে ফিরে যাও
আলো নয় আঁধারি নয় কেবল
তন্দ্রায় মিশিয়ে দিয়ে যামি।