ইউরোপের কোনো
সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম হতে পারত আমার।
হতে পারত সোমালিয়ার কোনো গৃহহীন
নর-নারী আমার মানব জনমের জন্য দায়ী।
জানি না, কোন পাপ পূণ্যের বিচারে
ভাগ্য-বিধাতা এ জনমে আমাকে আনলেন
এক মধ্যবিত্তের ঘরে।
পারি না চন্দ্রালোকে পাড়ি জমাতে,
না পারি এখন মুখ লুকাতে।
চাওয়া কিছু যে পূর্ণ করতে পারি না তাও নয়, তবে
বারবার ভাবতে হয় তা যেন মধ্যবিত্তের সীমানা
অতিক্রম করে না যায়।
আভিজাত্যের বিশাল কোনো বিলাস নেই,
দারিদ্রের তীব্র যাতনাও নেই।
খাওয়ার টেবিলে কোরমাপোলাও-এর গন্ধ নেই ঠিক,
তাই বলে ক্ষুধার তাড়নায়
অন্যের দরজায় মাথা ঠেকাতে হয় না নিশ্চিত।
কিছু টাকা হাতে থাকলেও বন্ধুদের নিয়ে
কোনো কফিহাউজে বসতে পারি না,
অবশ্য একগোছা ফুল কিনতে পিছু হটি না মাঝে মাঝে।
একটা নতুন শার্ট কিনতে
ঝলমলে শপিং কমপ্লেক্স ভাবনায় আনতে পারিনে,
ফুটপাতে যেতেও যেন রুচিতে বাঁধে!
কেষ্ট মুচির দারস্থ হই বারবার,
শুধু তারপরই একজোড়া নতুন জুতার স্বপ্ন দেখা সাজে।
সেখানেও হিসেব-নিকেষ …
নিজের শখ প্রাধান্য দিলে ভাই বোনের আশা অপূর্ণ থাকে।
তাদের মুখের হাসির দাম আমাদের কাছে মূল্যহীন হয়।
বিষাদ আড়াল করে কাটাতে হয় তবু উল্লসিত এক জীবন,
আশায় থাকি হঠাৎ কেউ যদি লুকিয়ে দেখে
অন্তরালের তীব্র সকল দহন।
পোষাকী প্রেমের আলাপন নেই,
মনের দামে যদি মন মেলে সে আশায়ই থাকি সারাক্ষণ।