দিব্যেন্দু দ্বীপের সহজিয়া কবিতা

%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%b8%e0%a7%80-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%be

 

 

 

 

 

 


ঘনকালো
লোভনীয়
অন্ধকার ছেড়ে আসা মানুষ আমি।
এসে দেখি
সেখানে নির্বাপিত হয়ে যেতে চায় স্বয়ং সূর্যও।
তবে কি আবার ফিরব আমি?

বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কৈফিয়ত দিই না কখনো,
এমকি তোমার চূড়ান্ত আলিঙ্গনের প্রলোভনেও না।

ঠিক এখন
তুমি আফ্রোদিতি বা হেরা না

শুধু ভারী একটা ব্যাংক একাউন্ট হও।
পারবে?
তাহলে দেখতে আমি
কেমন সুসম্রাজ্য গড়তে পারি।


http://www.dreamstime.com/stock-photo-image32847760


তুমি তো খুঁজছ এক তেজোদিপ্ত সিংহ,
যে রাজা হয়ে আছে এ জঙ্গলে।
আমি যে এক ক্লান্ত চিতা শুধু!
এক কদমও আর দৌঁড়াতে চাই না,
না কাউকে কাঁধে নিয়ে,
না কারো পিছে পিছে।
দৃঢ প্রতিজ্ঞায় নিশ্চেষ্ঠ হই এখন
সুস্পষ্ট হেলে পড়া কাদম্বরীতেও।
তবু মনে পড়ে মাঝে মাঝে
কোনো এক অলৌকিক মানবীর,
যদি কেউ অ্যাথেনা হয়ে ধরা দিত!
দস্যুও দিনশেষে আশ্রয় চায়,
আমি তো শুধু এক ক্লান্ত পথিক মাত্র!

বেশ্যার তবু সয়,
সতী যে খুব অসহায়!
সারাদিন হা-হুতাশ
এর চেয়ে সত্য ভালো,
সৎ কেবা হয় এ দুনিয়ায়,
বরং সাহস করে সত্য বলো?

দেহ চাই না মনও চাই না,
পারলে তুমি ভিন্ন কিছু
বানাও শুধু আমার তরে।
দেহ বলো আর মন বলো
ওরা আলোর বেগে ছোটে।



চা

 

 

 

 

 

 


তোমরা বড্ড সিল্কি,

আমার
রূগ্ন দেহে মানাচ্ছে না।
আটপৌরে মানুষ চাই,
পর হইলেও ক্ষতি নাই।

শেষ কথাতেই আমার শুরু,
তুমি ভাবছ শেষ।
সংশয়টুকু বাদ দিতে পারো যদি
তুমি আমি অশেষ।
শুরু নেই, নেই কোনো শেষ।