পাপিয়া একজন বৈষ্ণবী

Papiya

পাপিয়া কে?

পাপিষ্ঠা?

নো, মোটেও না

পাপিয়া কে?

বেশ্যা?

নো, মোটেও না

বরং পাপিয়া একজন বৈষ্ণবী,

আখড়া নয়,

ওয়েস্টিন ছিল তার আশ্রম,

সেখানে যেত ভালোবিখ্যাত রাজনীতিক,

সেখানে যেত সৎনির্ভিক আমলা,

সেখানে যেত শাস্ত্রিকধার্মিক ব্যবসায়ী,

সেখানে যেত জ্ঞানীসম্মানী শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী

সেখানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছে

পুরস্কার পাওয়া এবং পেতে চাওয়া  এ রাষ্ট্রের শত শত কবি।

 

পাপিয়া পেরেছে,

বাঘের পিঠে মহীষ চড়িয়েছে,

পাপিয়া পেরেছে,

দল-মতের ভেদাভেদ ভেঙেছে,

পাপিয়া পাপী নয়, বেশ্যা নয়,

পাপিয়া একজন বৈষ্ণবী; ওয়েস্টিন তার আখড়া নয়, আশ্রম

 

পাপিয়া একজন বৈষ্ণবী,

দুবৃত্তের বিছানায় সে ময়নাপাখি-গুল্লুগুল্লু-সোনাপাখি,

পাপিয়া নীলকণ্ঠী; তুমি সুযোগ পেলে

পাপিয়া হতে পারত তোমারও ময়ুরপঙ্খী

পাপিয়া পেরেছে,

পুরুষতন্ত্রের সাদা ব্যান্ডেজটা খুলে দিয়েছে

পাপিয়া পেরেছে, 

এই রাজনীতির রূপটা চিনিয়ে দিয়েছে

 

কিচ্ছু হয়নি তাতে;

ওদের র‌্যাব এসে আলোটা শুধু নিভিয়ে দিয়েছে

বৈষ্ণবী পরিবর্তন হয়েছে,

শাস্ত্র একই— নিয়ম অটুট,

ওয়েস্টিন ঠিকই আছে, আশ্রম চলছে–

কালরাতেও মদে মত্ত হয়ে

নতুন পাপিয়াকে

কোমরে আটকে রাষ্ট্রের মহোৎসব করেছে ওরা,

ওরা মানে কারা?

ওরা মানে পাপিয়াদের কোমরে বেঁধে

রাষ্ট্র চালায় যারা

ওরা মানে এ রাষ্ট্রে শত্রু-মিত্রের খেলাটা খেলছে যারা


শেকস্ রাসেল, লন্ডন, যুক্তরাজ্য