সম্পর্কের বাহন
তোমাকে পাবো না জানতাম
তবুও সম্পর্কের-বাহনে সহযাত্রী ছিলাম
কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য আসতেই নেমে যাবে
জেনেও পাশে পাশেই থেকেছি
হুট করে বাস থামতেই
থমকে যাই আমি
থমকে যায় হৃদস্পন্দন
কিছু না বলেই নেমে গেলে
গন্তব্যের হাতে হাত রেখে
বুকের জেব্রাক্রসিং মাড়িয়ে পার হলে
ফিরে তাকালে না একটিবারও
নির্নিমিখ ঠায় দাঁড়িয়ে রই
গন্তব্যহীন এই আমি।
তোকে ছোঁবো বলে
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বৃষ্টি হলাম
তোকে ছোঁবো বলে
আর তুই
তুই ছাতার অক্টোপাসে নিজেকে গুটিয়ে রাখলি
হাত বাড়িয়ে ছুঁলি না মেহেদী নষ্ট হবে বলে
বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায় ছিল
করুণ আবেদন
একটুও বুঝলি না
বৃষ্টিভেজা বুকের পথ মাড়িয়ে চলে গেলি।
তোকে ভালোবাসি
তোকে ভালোবাসি
এটা তোর মতো অ-নে-কে-ই জানে
কোনোদিনই বলা হয়নি শব্দাক্ষরে কিংবা শব্দতরঙ্গে
ভালবাসলেই বলতে হবে
এতে আমি একমত নই
দিন, তারিখ, মাস ও বৎসর
একে একে খসে পড়েছে ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে
চেয়ে চেয়ে দেখেছি
তবুও বলিনি তোকে ভালোবাসি।
মৃত্যু-ঘুঙুর
আজ মৃত্যুকে ঘুঙুর বানিয়ে
নর্তকীর পায়ে বাঁধবো।
জীবনসুধায় মদির হয়ে
নৃত্যের তালে তালে
বাজাবো স্বর্গ-নরক।