আলো নিভে গেলে
আমি একলা তখন–
জানালার কাচের শার্সি ফুঁড়ে
বৃক্ষের বিষন্ন শরীর
ডুবে যেতে দেখি
ঘন কুয়াশায়–
আমি নিমগ্ন হই আমার ছায়ার বাহুতে
তার সাথে সারারাত নাচি, গান গাই
সুরের জল তরঙ্গ তুলি
নিঃসঙ্গতার ধমনী জুড়ে
শিরায় শিরায়–
খুব বেশি আনন্দ চাইনি কোনদিন
চাইনি অকারণ নিগূঢ় অন্ধকার
চেয়েছি মৃদুলা গোধূলির গান
চেয়েছি উষ্ণ ভোরের ভীরু চঞ্চলতা
ছুঁয়ে যাক এক নির্জন ঝর্ণার দান।
পুরানো ছবির পাখিগুলো
একদিন উড়ে যায়
ইচ্ছের পাখিরা শুধু
রয়ে যায় বহু বহুকাল
মন জুড়ে পরানের অতল গহীনে-
আকাশ ভরা অভিমানী নক্ষত্র নিয়ে
তবু কি জেগে থাকে
কোন তৃতীয় নয়ন শীতার্ত রাত জুড়ে?
পৃথিবীর শেষ কুটিরের রং মুছে গেলে
সেও কি মিলিয়ে যায়
বেদনার কালশীটে ধোয়ার আড়ালে?
কবি
উপসচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার