পর্দার আড়ালে
ওরা আছে বিভৎসে, জিঘাংসায়।
বিষন্নতায় যে মরে সেও তো মানুষ,
কিছু ওরা মানুষ নয়, ওদের রুগ্ন দেহে
এখনো দানব বাসা বাধে।
ওরা দুঃখ সয়ে দুঃখ দেয় গোপনে,
ওরা মরার আগে মারতে চায়।
দরিদ্র বৈ সবাই তো মানুষ নয় যেনো।
# জীবন-যাপনে কোথাও কি বড় ভুল হচ্ছে তাহলে? অর্ন্তযামী তোমার কী মনে হয়?
* ভুল করছ। এভাবে তুমি পারবে না।
# ভুলগুলো একটু ধরিয়ে দেবে কি?
* প্রথমত আরো শক্ত হও। মানুষের প্রতি তোমার যে দুর্বলতা সেটি কাটিয়ে ওঠো, কাটিয়ে ওঠা বলতে আরো সতর্ক হও।
# দুর্বলতা বলতে কী বুঝাচ্ছ?
* মানুষকে এত সহজে বিশ্বাস করা যাবে না। তোমার কিছু ভাবনায় ভুল আছে। মানুষ কতটা নিচুতরভাবে শত্রুতা করতে পারে, ক্ষতি করতে পারে, এটা তুমি জানো না।
# ঠিক বলেছে। মানুষকে আমি একটা স্তরের নিচের নামাতে পারি না।
* বেশিরভাগ মানুষ তার চেয়ে অনেক নিচে। তুমি হয়ত জানো যে মানুষ স্বার্থের জন্য খুন পর্যন্ত করে, এটা চূড়ান্ত বিষয়। খুব বেশি মানুষ খুন করে না, কিন্তু স্বার্থের জন্য ভালবাসা, সভ্যতা, সমাজ প্রতিনিয়ত খুন করে চলেছে মানুষ
# তাহলে মানুষ শিক্ষিত হয়ে কী লাভ হচ্ছে?
* লাভ এখনই হচ্ছে না। তবে সবাইকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে যাতে পাপ সবাই সমানভাবে করতে পারে। এখন তো শিক্ষিতরা চমৎকারভাবে ঠকাতে পারছে, অশিক্ষিতরা পিছিয়ে পড়ছে। প্রযুক্তি তাদের হাতে নেই, পরিচালনা করতেও তারা জানে না, ফলে তাদের জন্য এগিয়ে যাওয়া কঠিন।
# আমি কী করব, তাই বলো।
* জীবন-যাপনে স্পষ্টতই একটা পরিবর্তন আনো। খুব ক্লোজ একটা সার্কেল নিয়ে চলো। খুব বিশ্বস্ত এবং বিনাইন একটা সার্কেল. হোক সেটা মাত্র তিনজনের বা পাঁচজনের। সুখে দুঃখে তাদের সাথেই যোগাযোগ রাখো। বাকীদের এড়িয়ে যাও। বাকীদের সাথে কড়া হিসেব-নিকেষে শুধু কেনাবেঁচার সম্পর্ক রাখো।
# তোমার কি মনে হয়, এই সমাজ ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে আসলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করা সম্ভব?
* খুব কঠিন। তবে অভিজ্ঞতালব্ধ কৌশল প্রয়োগ করতে পারলে সম্ভব। সমাজ সম্পর্কে সে অভিজ্ঞতা তোমার আছে। শুধু ওয়ার্ক প্লান এবং টাইম বাজেট ঠিক করো।
# বিনিয়োগ একটা বড় সমস্যা?
* তার চেয়ে বড় সমস্যা তোমার শত্রুরা। তাদের বাছাই করে ছেটে ফেলো, প্রথমত মন থেকে, এরপর বলয় থেকে।
# ধন্যবাদ, অর্ন্তযামী তোমাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ।
তুমি দেখতে কি পাও
কী ভুলে তোমার তরী
ডুবছে ধিরে ধিরে?
দেখতি কি পাও
মাঝি হয়ে কে দাঁড় বায় উল্টে?
হাল ধরো এখনই শক্ত হাতে,
ওদের হতে বহুদূরে মহাকাশে
চলে যাও রোজ কাজ শেষে অবকাশে।