Headlines

ছড়ার বইঃ মেঘেদের দল // দিব্যেন্দু দ্বীপ

মেঘেদের দল

আজব দেশ

আজব দেশের আজব কথা

কাঁঠাল গাছে আমের পাতা।

আজব দেশের আজব গান

গম ক্ষেতে সোনার ধান।

আজব দেশের আজব শখ

কাকের নাম সাদা বক।

আজব দেশের আজব ছড়া

এদেশের নিয়ম খুব কড়া!

আজব লোক

একটা পা দুইটা মাথা

কানে জুতা পায়ে ছাতা।

পেটটা তার পিঠের মতো

মুখ সেখানে শত শত।

মশা খায় মাছি খায়

এই লোকটা দেখতে বেজায়।

নাকের পরেও একটা চোখ

এ কেমন আজব লোক!

 

ফানি

জল না পানি

আমি কিন্তু জানি।

দিদি না নানি

ফান ফান ফানি।

 

বাঘের খামার

বাগেরহাটে বাড়ি আমার

আছে আমার বাঘের খামার।

খামারে বাঘের ছবি

বাঘ পোষা আমার হবি।

আমি বাঘ ভাই ভাই

খাইদাই একসাথে ঘুমাই।

 

শিয়াল বোকা

বিড়াল ডাকে ম্যাও ম্যাও

ক্যাঙ্গারু ক্যাও ক্যাও।

চিক চিক জোঁনাক পোকা

কোথা যাও একলা খোকা?

আমার কাছে শিয়াল বোকা।

দেখবে কেমন দেব ধোঁকা?

 

আমরা হব

বাবা বলে ডাক্তার হবে

মা বলে ইঞ্জিনিয়ার হও।

মামা বলে ছবি  আঁকবে

কাকা বলে গান গাও।

মা-বাবা-মামা-কাকা

ওদের সবার মাথা ফাঁকা

নষ্ট হয়েছে

আমার গাড়ির চাকা।

সাথে নিয়ে একটা ফুটবল

সবাই আমার সাথে চল।

চল চল চল, মাঠে চল।

 

চাঁদ ভেসে যায়

আজকে রাত দুপুরে

চাঁদ ডুবেছে পুকুরে।

ঐ দেখা যায় আকাশে

চাঁদ ভেসে যায় বাতাসে।

সূর্যি মামার দেশে

চাঁদ চলেছে হেসে।

 

মেঘেদের দল

মেঘেদের দল

আমার সাথে চল।

বৃষ্টি তোরা পড়

ঐ দ্যাখ আসছে ঝড়।

যেতে হবে বহুদূর

যতক্ষণ না ওঠে রোদ্দুর।

 

জাতির পিতা

শেখ মুজিব জাতির পিতা

এনেছে সে স্বাধীনতা।

শেখ মুজিব বিশ্বনেতা

বলত সে মানুষের কথা।

“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,

এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।”

শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধুর নাম

জানাই তাকে হাজার ছালাম। 

 

চে

চে গুয়েভারার গল্প

শুনে নাও এখন অল্প।

বড় হয়ে জানবে

তাকে তোমরা মানবে।

 

বৃষ্টি

আমার সাথে যাবি?

কমলা লেবু খাবি?

টক টক মিষ্টি মিষ্টি

হঠাৎ দেখি পড়ল বৃষ্টি।

কমলা লেবু গাছে

দোয়েল পাখি নাচে।

বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি

বন্ধ আমার দৃষ্টি।

যা বৃষ্টি চলে যা

কানে কানে বলে যা।

আমরা দুই ভাই

কমলা লেবু খাই।

এখন আমি যাই।

 

একটা দেশ

সে একটা দেশ

বেশ বেশ বেশ।

খেঁক শিয়ালের লড়াই

জিতে করে বড়াই।

মিটিং করে ফিটিং করে

ঘোড়ার পিঠে গাধা চড়ে।

ভেড়া ডাকে ভ্যা ভ্যা

ঠিক তাই হ্যাঁ হ্যাঁ।

 

ক্ষমা নেই ওদের

১৫ আগস্ট ভোর রাতে,

বর্বরেরা অস্ত্র হাতে;

৩২ নম্বর বাড়িতে হানা দেয়।

দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে কেড়ে নেয়।

শিশু রাসেল বাঁচতে চেয়েছিল,

তাকেও ওরা ভয় পেল;

বর্বরেরা গুলি করল,

ছোট্ট রাসেল রক্তাক্ত হলো।

ওদের ক্ষমা করা যায় কি বলো?

 

স্বাধীনতার ঘোষক

২৫ মার্চ ১৯৭১,

হানা দিয়েছিল ওরা পাকিস্তানি হানাদার।

২৬ মার্চ ১৯৭১,

স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১,

বাংলাদেশ স্বাধীন হলো;

হানাদারেরা লেজ গুটিয়ে পালালো।