প্রশ্রয়

মৃত্যু
সবকিছু ঠিক থেকে যাবে অবিকল—
বৃষ্টি, আকাশ, ক্ষুধার্ত পাখির চিৎকার,
ঝড়ো দিনে অকস্মাত ধেয়ে আসা ষাঁড়,
সদ্য যৌবন্মুখ কিশোরীর লুকোচুরী,
এই করোনাকালের হালচাল—
সুনশান নিরব গলিতে
পথিকের আশায় অপেক্ষারত ভিখিরি
জানবে না যে, এ পথ দিয়ে আমিও যেতাম।
বন্ধুর আর্তনাদ মিলিয়ে যাবে
গর্ভবতী প্রেয়শীর ক্ষুধার্ত আলিঙ্গনে।
তোমার মতো যৌবন পুড়িয়ে চাপা দিতে
পারে না যারা যন্ত্রণার পাহাড়,
ভুলে যাবে তারাও সব নিয়মিত ক্রন্দনে।
আর যারা বিরক্ত ছিল—
তাদের পরস্পরের সমর্থিত দীর্ঘশ্বাস
মিলিয়ে যাবে চৈত্রের মৃদুমন্দ বাতাসে।
সবকিছু এভাবে ঠিক থেকে যাবে অবিকল—
সদ্য বিবাহীত নারীর বাসী সকাল,
ঘুম ঘুম চোখে স্বামীর অফিশ ধরার অস্থিরতা,
ব্যয়ভারে ক্লিষ্ট পিতার নিরব আর্তনাদ,
শহুরে প্রতিবেশীর নিষ্পৃহতার বাধ্যতা,
পুটলি বাঁধা ঈশ্বরের বুকে
সস্তানহারা মায়ের একান্ত ফরিয়াদ,
এখনো যারা কবি—
তাদের অনর্থক বেঁচে থাকা,
এসব কিছুই বদলাবে না এ মৃত্যুতে।
এর চেয়ে পথিক তুমি পৃথিবীর বুকে
প্রকৃতির এক চিলতে যন্ত্রণা হয়ে বেঁচে থাকো আরো।


দিব্যেন্দু দ্বীপ