১
তোমার জন্য ভ্রম বাড়ে,
তোমার জন্য শ্রম বাড়ে,
তবু ভালোবাসি অভ্যাসে।
২
পরিণীতা ঘুমায় নিঃসংকোচে,
যখন আমি পীড়িত তোমায় ভালোবেসে!
৩
সে কি হারায় কিছু?
তোমার উপস্থিতি শুধু আমায় ঠকায়।
৪
একদিন আমিও গিয়েছিলাম জঙ্গলে,
দেখে এসেছি,
সেখানে সত্যিই পশুরা থাকে।
মানুষ এক প্রকার, পশুরা বিভিন্ন নামে।
ওদের চিনে নিয়েছি, তোমায় চিনি না যে!
৫
দাঁড়িয়ে আছে সেও তোমার মত একই সুরে,
আমি তো শ্রোতা, সমজদার মাত্র,
তাই তো শিল্পী খুঁজি ভিন্ন নামে।
৬
শুদ্ধাচারে সে সেজেছে,
পরিণীতা সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলেছে
দুষ্ট নাশে, আমার কুশল আশে।
৭
অবশেষে
সততার সুযোগ খুঁজি
সত্যের অজুহাতে।
প্রমাণ মেলে হাতে হাতে।
৮
পৃথিবীতে পুরুষ যত
জ্ঞানী-গুণী-মহাজন,
সবাই ওরা আমারও স্বজন।
বর্বরেরা শুধু বিপরীতে, ওৎ পেতে।
নিষ্পাপ কেউ জন্মেনি আজও।
৯
সাম্যবাদী হতে
তাঁর কানে কানে বুঝিয়ে বলি,
পরিণীতা প্রেম বোঝে, পুরুষ বোঝে না।
১০
বিস্ময়ে অামি শুনি,
সে যখন বলে,
পুরুষ বুঝি তাই প্রেম খুঁজি না।
দিব্যেন্দু দ্বীপ ’র প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থ জবানবন্দী থেকে সংগৃহীত