প্রত্যাশা
পুনরুজ্জীবিত হোক ইতিহাস!
রক্তবীজের মতো লাশগুলো আবার উঠে দাঁড়াক!
কেড়ে নিয়ে যাক শকুনের সুদিন!
সাথে নিয়ে যাক কিছু নতুন লাশও,
যারা লাশের ভাগাড় বানাতে চাইছে গোটা পৃথিবীটাকে।
সভ্যতার অভিশাপে পরিণত করছে জাতিকে!
প্রগতির রথচক্রকে যারা বারবার
পদাঘাতে প্রোথিত করছে ভূপৃষ্ঠে!
তাদের ধ্বংসের প্রয়োজনে
অন্তত একটা লাশ আবার উঠে দাঁড়াক!
যে কারো সারথ্য করবে না,
মানবতার মহান বাণীও প্রচার করবে না,
কিম্বা তর্জনী উচিঁয়ে ঝাঁঝালো বক্তব্যও দেবে না,
বজ্রধারীরূপে নাই বা আসুক, হয়ে আসুক না চণ্ডাশোক!
আশা কি শুধুই ছলনা!
‘সোনার বাংলা’, ‘রূপালী স্বদেশ’
এখনও স্বপ্নই রয়ে গেছে!
এখনও নানান বেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রাজাকার,
মানচিত্রজুড়ে অনবরত নেচে চলেছে স্বৈরাচার!
প্রায় সকলে ভুলতে বসেছে দেশ গড়ার অঙ্গীকার।
যায় যাক বয়ে আরও কয়েকটা রক্তগঙ্গা;
বলি যায় যাক আরও কিছু মহৎ প্রাণ;
হারিয়ে যায় যাক আমার একান্ত প্রিয়জন;
কিন্তু জাতি হিসেবে দেনা পাওনা
মেটানোর অধ্যায়টা মিটিয়ে দেবার জন্য,
অন্তত একটা লাশ আবার উঠে দাঁড়াক!
হোক না সেটা মুক্তিযোদ্ধা, কিম্বা ভাষা শহীদ;
হুমায়ুন আজাদ কিম্বা অভিজিৎ!
যে কোনও একটি লাশ আবার মাথা তুলে দাঁড়াক!
দক্ষিণ খুলনার অন্তর্গত সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে অবস্থিত দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের বাজুয়া গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্ম। পিতা সুজিত গাইন ও মাতা লিপিকা গাইনের প্রথম সন্তান। ১৯৯৭ সালে কৈলাশগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বাজুয়া সুরেন্দ্রনাথ ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বিভাগে উর্ত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে ভর্তি। সেখান থেকে ২০০৬ সালে স্নাতক (সম্মান) (প্রথম শেণীতে দ্বিতীয়) ও ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর (প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয়) ডিগ্রি অর্জন। কৈশোর থেকেই অদ্যাবধি বিভিন্ন ম্যাগাজিন, পত্রপত্রিকায় ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ লেখা অবসর বিনোদনের একটা অংশ। বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে মূখ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।