ছেড়ে যেতে হবে এই লোকালয়,
আলো-আধারের যত আয়োজন।
আমি বড় বেমানান হেথায় এখন,
আকাশও আজ ভেংচি কাটে খেয়ালে!
শুধু দুঃখ জমেছে জীবনে,
অহমিকাগুলো হাতড়ে হাতড়ে
নাগাল পায়নি কিছু,
অবশেষে আমায় ক্লান্ত করেছে শুধু।
পিছন ফিরে যতদূর যাই মেলে না কোনোকিছু,
শৈশবেরও দেখি সেই একই রূপ,
মেঠো ফুটবলের এগারো জনের দলে আমি নেই,
আমার ঘুড়িটা আকাশে উড়ত না কেন জানি,
সবাই কেমন দিব্যি সাঁতরে পুকুরটা পার হয়ে যেত,
আমি ফিরে আসতাম একটু গিয়ে ক্লান্ত হয়ে।
চুরিতেও ছিলাম আমি অপটু, পারতাম না গাছে চড়তে,
জাল জালিয়াতি… তাতেও সমান অদক্ষতা।
তাকিয়ে থাকতাম দূরে-ভবিষ্যতে,
সেই ভবিষ্যত তো কখনো এলো না–
এখনও আমি শৈশবের মত তাকিয়ে থাকি শূন্যে–
কিছুই হল না, হবে না, হয় না এমন কারো,
দুর্বল হৃদয় অবশেষে ভালোবাসতে দেয় না শুধু নিজেকে!
সবার আমি শুধু আমার নয়,
হারাতে হারাতে সব হারালে একদিন কারো নয়।
এখন যেন কী হয়েছে!
ঠিক আগের মত নই আর আমি,
তাকিয়ে থাকি না কোনো সুদূরে, ভবিষ্যতে বা ভবিতব্যে,
হৃদয়টাও ঠিক এতটা আর ভালোবাসে না কিছু,
মোহগুলো ভ্রুণে নিঃশ্বেষিত হয়,
বাধি না কোনো ঘর ভুলে পথপ্রান্তে
একদিন যেমন তোমাকে পেয়েছিলাম ভ্রমে।
স্বপ্নগুলো পরস্পর যুদ্ধ করে না,
বরং স্বপ্নই আর নেই কোনে। তবু কেন বাঁচি?
এখনও বাঁচি শেষটা দেখব বলে,
এখনও বাঁচি দুর্বল-ভীরু আমি স্বেচ্ছামৃত্যু পারি না বলে,
এখনও বাঁচি শুধু একদিন মরব বলে।
তবু যেন আমি দিনশেষে মানুষ!
মাঝে মাঝে সবই খুব সাধারণভাবে জেগে ওঠে জীবনে,
আশা-ভরশা-আকাঙ্খা, ছেড়ে দিতে হয় সব সচেতনে,
পারি না এখনও তোমাকে ছাড়তে!
প্রতিদিন পরাজিত হয় আমার সচেতন সিদ্ধান্ত–
সে শুধু তুমি, তোমার কারণে–দুর্বোধ্য এক প্রেমে পরাজিত আমি!!
শেকস্ রাসেল
১/৬/২০১৭, লণ্ডন, যুক্তরাজ্য