কবে কিছু মানুষ এমন ঈশ্বর হল? । দিব্যেন্দু দ্বীপ

man to god nature

এখনই ছেড়ে যাবি জীবন?
যাস নে। কত যে হিসেব আছে বাকী!
মরা কি যায় এমন বেহিসেবে
নিজেকে সব দিয়ে ফাঁকি?

অক্ষরে অক্ষরে লিখে রেখেছি
যাদের মহাপাপ যত
দিয়ে যেতে হবে বিচারের ভার,
রেখে যেতে হবে পাণ্ডুলিপি সব অক্ষত।

হারিয়েছে অনেক অপ্রস্তুত হয়ে,
তবু প্রতিশোধে
রক্তপাত ঘটাতে চাইনি কারো,
শুধু অদৃশ্য তলোয়ারটা মুখের
সামনে উঁচিয়ে ধরে বলতে চেয়েছি-
তোরে এখন শেষ করে দিতে পারি, শয়তান, সাবধান!

আছে কিছু কৈফিয়ত বাকী,
মরে গেছে যারা-
ওদের পাওনাগুলো রেখে যেতে হবে
পৃথিবীতে ওদেরই নামে।

প্রতিক্ষার অবসান হয়নি অনেক এখনো,
ফিরিয়েছি ক্ষুধার্তকে ভবিষ্যতের কথা বলে,
ফিরিয়েছিলাম একটি ফেনিল সমুদ্রকেও,
আষ্টেপিষ্টে বেধে রেখেছি নিজেকে আজও!

এমন এক পথে আমি
যে পথ ছিল না সত্যি কোনোদিন,
ইঞ্চি ইঞ্চি করে বানিয়ে তবেই
আবির্ভূত হচ্ছে স্বর্গসোপান পথিকের জীবনক্ষয়ে।

ফুল ফোঁটে না কোনো একালে এ পথে,
তবু কিছু ত্যাজ্য ফুল কুড়িয়ে নকল মালা
গেঁথে রেখেছি আগন্তুককে স্বান্তনা দিতে।

চারিদিকে আলোঝলমলে অতিকায় জঙ্গল এক,
যেখানে জানোয়ারেরা জীবনযাপন করে যুদ্ধ জয়ে।
থাকার কথা ছিল আমাদেরও সে পথের
কিছু গ্রন্থি হয়ে একই কারাগারে।

স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়েছি আমরা
সংগোপনে
অবারিত এক পথ বানাতে,
যে পথের বাঁকে বাঁকে
ঈশ্বরেরা বসে বিনামূল্যের পসরা নিয়ে।
১০
হিমালয় সরাতে পারি প্রয়োজনে, সরিয়েছি কত!
এখনো পারি না দুবৃত্তের সব দেয়াল ভাঙতে,
ওরা এখন শক্ত এত!!
১১
বিবর্তিত যে জানোয়ার অবয়বে এত একই হল,
সবাই কি সত্যি মন পেল?
প্রকৃতি জানে আমরা সবই পশু,
প্রকৃতি বিরুদ্ধ হয়ে কারা এমন মানুষ হল?
১২
সুন্দরতম যারা এ পৃথিবীতে-
সত্যিই বিরল তারা, অপ্রাকৃত।
কবে কিছু মানুষ এমন ঈশ্বর হল?