বোরখা-শাঁখা-সিঁদুর

খুব বেগ পেতে হয়নি বাসা থেকে ওর পালিয়ে আসতে। পাশের বাসার ছাদে গিয়ে ওকে একটি বোরখা দিয়ে আসা হয়েছিল। ছাদে গিয়েছিলাম আমরা ইন্টারনেটের লাইন টানার কথা বলে। ও বোরখা পরে বেরিয়ে এসেছে।

কুয়াকাটা যাব আমরা। ঝামেলা হচ্ছে, বর্তমানে হোক না হোক পুলিশে যাচাই বাছাই করে, তাই স্বামী-স্ত্রী প্রমাণ করার ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। বোরখা পরে গেলে অসুবিধা আরো বেশি, জঙ্গি ভাববে সবাই। একটা উপায় খুঁজে বের করতেই হবে।

চট করে চমৎকার একটা বুদ্ধি মাথায় এসেছে। ওকে বললাম, চলো শাঁখারি বাজার যাই। একজোড়া শাখা কিনে পরে ফেলো, আর এক কৌটা সিঁদুর। ও চমকে উঠল। বলে, শাখা-সিঁদুরের প্রশ্ন কেন আসছে?

বললাম, যে কারণে তুমি এতক্ষণ বোরখা পরেছিলে ঠিক একই কারণে এখন শাখা-সিঁদুর পরতে হবে। ও না বুঝে হকচকাল। বুঝিয়ে বললাম।

শাঁখারি বাজার গিয়ে এক জোড়া শাঁখা কিনে ও সিুঁদর পরে নিল। খোঁচা দিয়ে বললাম, এবার আর কেউ সন্দেহ করবে না। স্ত্রী বলার আগেই সিম্বল দেখে বুঝে নেবে। লঞ্চে কেবিন আগেই বুক করা ছিল, উঠে পড়লাম।

 দিব্যেন্দু দ্বীপ