পাকিস্তানের পাঞ্জাবে সন্দেহভাজক এক ধর্ষণকারীর বোনকে স্থানীয় পাঞ্চায়েতের নির্দেশ জনসম্মুখে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
দেশটির পাঞ্চাব প্রদেশের মুলতানের মুজাফফরবাদে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত কমপক্ষে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর আলজাজিরার।
পাঞ্চাবের পুলিশ কর্মকর্তা আল্লাহ বক্স বরাতে খবরে বলা হয়, গ্রাম্য পাঞ্চায়েত জিরগায় ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কেননা কিশোরীর ভাই ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করেছে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি। তিনি পাঞ্জাব পুলিশ প্রধানকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকার খবরে বলা হয়, ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে সালিসিতে সবার সামনে এনে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের সময় কিশোরীর মা-বাবাও ঘটনাস্থলে ছিলেন। স্থানীয় থানায় পরে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ের মা অভিযোগ দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের আরেক কর্মকর্তা আহসান ইউনাস জানান, প্রথম যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়, তার বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। প্রতিশোধ নিতে পরে যে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়, তার বয়স ১৬ অথবা ১৭ বছর।
তিনি জানান, ২৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ নিয়েছে। সালিসিতে যে সবার সামনে ১৬ বছরের মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে, সে এখনো ধরা পড়েনি।
পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলে ও উপজাতি গোষ্ঠীতে গ্রাম পরিষদ জিরগার মাধ্যমে হত্যার বদলে হত্যা ও ধর্ষণের বদলে ধর্ষণের মত বিতর্কিত, সমালোচিত স্থানীয় আইন চালু আছে।
২০১২ সালে একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল পাকিস্তানে। ছোট ভাই মাঝবয়সী এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক করায় ২৮ বছরের তরুণী মুক্তার মাইকে গণধর্ষণের নির্দেশ দেয় পঞ্চায়েত। সেই মুক্তার মাই এখন একজন নারী অধিকারকর্মী।
অনলাইন ডেস্ক