সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার কর্মকর্তাসহ সচিব ও অন্যান্য পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে পোস্ট দেওয়ায় বিসিএস মৎস্য ক্যাডার কর্মকর্তা বেগম ফারহানা জাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ জারি হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ওই কর্মকর্তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে।
১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাফসা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বেগম ফারহানা জাহানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানানোর জন্য মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেগম ফারহানা জাহান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সচিবদের নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন।
প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা ও সচিবরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন তার সমালোচনা করেন তিনি যা সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০১৬ অনুযায়ী পরিহারযোগ্য এবং সরকারি কর্মচারি শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ১৯৮৫-এর ৩(বি) ধারা অনুযায়ী অসাদাচারণের শামিল বলে মন্ত্রণালয় মনে করছে।
তার স্ট্যাটাসটি জনমনে অসন্তোষ ও অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টির জন্য দায়ী বলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
স্ট্যাটাসটি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
তার বক্তব্যকে সংবিধানপরিপন্থী উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করায় শুক্রবার আরও একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি যেখানে সরকারি কর্মচারি শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা ১৯৮৫-এর ৩(বি) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফারহানা জাহান বলেন, কোন নির্দেশনাবলী সংবিধানের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করতে পারে না এবং আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশে বাধা প্রদান সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।
সংবাদ: চ্যানেল আই