শেরপুরে গলায় দড়ি দিয়ে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। ওই কিশোরীর নাম কণিকা (১২)।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তাদের ভাঙা ঘরের আড়ায় গলায় দড়ি দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, পরিবারটির এতোই অভাব অনটন যে, লাশের সৎকারের খরচটিও এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে দিয়েছে।
এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কিশোরী ধরে কনিকাদের পরিবারে অভাব কাটছিল না। এতে করে তাদের প্রায়ই না খেয়ে থাকতে হত। সে কিছু দিন স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু দারিদ্রতার কারণে বাধ্য হয়েই স্কুলে যাওয়া বাদ দিয়ে দেয়। এ ছাড়া তার বাবা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। তবে তার বাবা অসুস্থতার কারণে প্রায়ই মাছ ধরতে যেতে পারতো না, তখন তাদের না খেয়েই থাকতে হতো।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজগর আলী জানান, অভাবের কারণেই কণিকা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। কণিকার বাবা কোরবান আলী আমার কাছে একবার কার্ড চাইতে এসেছিল। আমি আবার কার্ড আসলে দেওয়া হবে বলেছি।
কনিকার পরিবার ধারণা করছে, অভাবের তাড়নায় ক্ষোভে হয়তো ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। কনিকার বাবা কোরবান আলী বলেন, ঘটনার দিন আমার মেয়ে কারও সঙ্গে কোন রাগ করেনি। হয়তো দারিদ্রতার কারণে মনের কষ্টে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সূত্র: অনলাই