গত বছরের জুলাই মাসে সৌদি আরবের কট্টরপন্থী এক ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ আলারাফে মেয়েদের এমনিক ডিজাইন বোরকা পরা উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি মেয়েদের ঢিলেঢালা কালো বোরকা পরারা কথা বলেছিলেন। তবে আধুনিক সৌদি নারীরা তাঁর এ বিবৃতি অগ্রাহ্য করেছিল।
সৌদি আরবে মেয়েদের আবায়া বা বোরকা পরা বাধ্যতামূলক। এদেশের মেয়েরা শৌখিন হাতে এমব্রয়ডারি বা সূচিকর্ম করে বোরকায় একটু আধুনিকতার ছোয়া এনে গায়ে জড়াতে পছন্দ করে বর্তমানে। যদিও এ বোরকায় মেয়েদের মুখ, হাত এবং পা ছাড়া পুরো শরীর ঢাকা থাকে, কিন্তু তারপরও সৌদিতে ফ্যাশনের বরকা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে।
তবে গত সপ্তাহে সৌদি আরবের একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা বলেছেন, সৌদিতে মেয়েদের আবায়া বা বোরকা পরতেই হবে এমন কোনো ব্যাপার নেই। মেয়েদের আব্রু বজায় রেখে পোশাক পরতে হবে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের আবায়া পরতে হবে।
সৌদি আরবে মেয়েরা পা পর্যন্ত পুরো শরীর ঢেকে রাখা যে ঢিলেঢালা আচ্ছাদন ব্যবহার করে, তাকে আবায়া বলে। সেখানে আবায়া না পরে বাইরে যেতে দেখা যায় খুব কম মহিলাকেই। সেখানে এটি পরা আইনত বাধ্যতামূলক। কিন্তু সৌদি আরবের ‘কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারস’ বা সবচেয়ে বয়েজ্যোষ্ঠ ধর্মীয় চিন্তাবিদদের কাউন্সিলের সদস্য শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক বলেছেন, এটার কোনো দরকার নেই।
সৌদি সমাজে যখন নানা রকম সংস্কারের চেষ্টা চলছে, তখনই একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা এ ধরনের একটি ধর্মীয় ব্যাখ্যা হাজির করলেন।
শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলাক শুক্রবার বলেন, ‘মুসলিম বিশ্বের ৯০ শতাংশ মহিলাই ‘আবায়া’ পরে না। কাজেই আমাদেরও উচিৎ হবে না মেয়েদের এটা পরতে বাধ্য করা।’
সৌদি আরবে এই প্রথম এ রকম উচ্চ পদের কোন ধর্মীয় নেতার মুখে এ রকম কথা শোনা গেল।
অনলাইন ডেস্ক