https://youtu.be/OyyzwSP9e3g
গ্রামটিতে আক্ষরিক অর্থেই কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। দুই পাড়ার মধ্যে পারাপারের ব্যবস্থা বিশাল বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের ব্রিজ। বাড়িঘর পাকা এবং আধাপাকা। যেহেতু রাজধানী একেবারে উঠোনের সাথে তাই লোকজনের অভাব মারাত্মক নয়, অাবার বেশিরভাগ মানুষ খুব ধনীও নয়। অনেকেই গরু পালে এবং সেই দুধ শহরে এনে বিক্রি করে। অবশ্য গত ত্রিশ বছরে, বিশেষ করে গত দশ বছরে তাঁদের জমি হস্তান্তর হয়ে গেছে বেশিরভাগ। প্রথম বনশ্রী আবাসিক এলাকা হয়েছে তাঁদেরই বিলে-ঝিলে, এরপর হচ্ছে ‘জহুরুল ইসলাম সিটি’। জানা গেল—ওতেই হয়েছে গ্রামের বেশিরভাগ লোকের সর্বনাশ, কতিপয়ের বাজিমাত।
https://youtu.be/mKPsWidPbA8
ঢাকা শহরের সাথে তাঁর জীবিকা, কিন্তু তিনি ঢাকা শহুরে নন। অশিক্ষা-সরলতার সৌন্দর্যে জীবন বয়ে চলেছেন নিভৃতে, ক্ষুধা-দারিদ্রে। তিনি থাকেন এমন একটি গ্রামে যেটির বইতে হচ্ছে ঢাকা শহরের পয়ঃপ্রণালীর ভার কিন্তু সুযোগ সুবিধা সেখানে খুবই অপ্রতুল। রাস্তাঘাট নেই বললেই চলে। বলা হচ্ছে, রামপুরা টিভি সেন্টার থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে ত্রিমোহিনী গ্রামের কথা। গ্রামটির বাসিন্দারা রাজধানীর অভিযাত্রীক নয়, তবে ভুক্তভোগী। বঞ্চনার কথা অনেকে তাঁরা বোঝে না, কারণ, শাস্ত্র মেনে এই জীবনটাকে তাঁরা নৌকা বাওয়ার মতো বেয়ে নিয়ে যেতে চায় মৃত্যু নামক গন্তব্যে। “এরপর থেকে শুরু হবে অন্য এক সুখের জীবন, যেখানে অনন্ত-অসীম সুখ।” এভাবেই তাঁদের শেখানো হয়েছে। সভ্যতার ফাঁকিটুকু পরিণত হয়েছে বৈশ্বিক এক শিক্ষায়। *ত্রিমোহিনী গ্রাম থেকে নড়াই নদীতে (যেটি এখন একটি আবদ্ধ-নোংড়া খাল) নৌকা বেয়ে যাত্রী নিয়ে আসে সে রামপুরা বনশ্রীর মেড়াদিয়া পর্যন্ত।