পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের হাতে ছয় জন নিরস্ত্র মানুষের হত্যার সংবাদকে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো ‘দুইটি সন্ত্রাসী দলের গোলাগুলিতে নিহত’ বলে প্রচার করেছে৷ চলছিল ‘গুলি’ কীবোর্ডের গুতায় তা হয়ে গেল ‘গোলাগুলি’৷ এই হলো সেই মিডিয়া যারা সেটেলারদের হাতে দিনের পর দিন শিশুধর্ষণ, জোড়াধর্ষণ, ধর্ষণের পর খুন, জোড়াখুনের ঘটনাগুলো সন্তর্পণে এড়িয়ে যায়৷
এরমধ্যে এক বিশেষ প্রজাতির চুকচুক পার্টিকে দেখা যাচ্ছে যারা পাহাড়ের এই মর্মান্তিক ঘটনাকে পুঁজি করে ঘৃণা ছড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে৷ তাদের মতে, ‘পাহাড়ে যেহেতু গোলাগুলি হচ্ছে কাজেই পাহাড়িরা সন্ত্রাসী৷ এদেরকে মাইরের উপর রাখা ঠিক আছে, ধর্ষণ করা ঠিক আছে!’ যেন বাঙ্গালি জাতি হল শান্তির পায়রা—তারা কোথাও খুনাখুনি করে না, তাদের দলে দলে সংঘাত হয় না, একই দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কেউ মরে না৷ পাহাড়ে জনবিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের কাজকর্মের দায় আপনারা পাহাড়িদের উপর চাপিয়ে দেন, পত্রিকার পাতা খুললে রেগুলার যেসব খুন ডাকাতি ধর্ষণ ও নৃশংসতার খবরগুলো দেখা যায় তার জন্য কি বাঙ্গালি জাতি দায়ী?
পাহাড় ইস্যূতে দেখবেন ডান, বাম, মধ্য, সুশীল, কুশীল, লুঙ্গিবাম, কেল্লাছাগু, মুন্নাছাগু, সিপিগ্যাং সবাই একঘাটে জল খাচ্ছে৷ সিপিগ্যাং এর গালিবাজরা ‘খাগড়াছড়িতে গোলাগুলিতে ৬ জন নাক বোচা নিহত’ বলে উল্লাস করছে৷ এই ঘৃণার উৎস কোথায়?