জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান তিন কান্ডারীকে ‘মেড ইন পাকিস্তান’ উপাধি দিলেন আলী আকবর টাবী

রাজাকারনামা
রাজাকারনামা
ছবিটি বিডিনিউজ২৪.কম পত্রিকার সৌজন্যে প্রাপ্ত।

কামাল হোসেন: একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু সবাইকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বললে ড. কামাল ব্যাগ আনার কথা বলে তাজউদ্দিন আহমেদকে বসিয়ে রেখে আর ফিরে আসেননি। যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করে স্ত্রীসহ শ্বশুরের দেশ পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে বেশ সুখেই দিন গুজরান করছিলেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন: যুদ্ধে যাওয়ার বয়স হয়েছিল। রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধে যাননি। পাকিস্তান সামরিক জান্তা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে ইত্তেফাক অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছিল। পরে ভুল স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। পত্রিকাটি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস পাকিস্তান সামরিক জান্তার পক্ষে সংবাদ পরিবেশন করেছিল অর্থাৎ মইনুল হোসেন পাকিস্তানের দালালীতে লিপ্ত ছিলেন। দালালীর কারণে বাহাত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু মনোনয়ন দিতে চাননি। তখন মইনুল হোসেনের মা অর্থাৎ মানিক মিয়ার স্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে ধরে মনোনয়ন নিয়েছিলেন। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত হলে আওয়ামী লীগের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও তিনি উল্লোসিত হয়েছিলেন এবং মোস্তাকের দালালী করেছিলেন। ১৯৭৮ সালে সিআইএ-র এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ৫ জন সাংবাদিকের নাম প্রকাশিত হয়েছিল। এদের ভেতর মইনুল হোসেনের নামও ছিল।

মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর: ফকরুল ইসলামের বাবা মির্জা রুহুল আমীন ওরফে চখা মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর দালালী করেছেন। স্বাধীনতার পর দালাল আইনে গ্রেফতার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার পরও প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী বিচারের অপেক্ষায় ছিল। চখা মিয়ার অপরাধ এতই গুরুতর ছিল যে তিনিও এই দাগী ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। পরে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর জিয়ার বদৌলতে মুক্তি পান এবং জিয়ার মন্ত্রীসভার সদস্য হন।

মন্তব্য: নিঃসন্দেহে এই ট্রেনটি সুযোগ পেলে পাকিন্তান গিয়ে থামবে। যারা পাকিস্তান যেতে চান নির্ভাবনায় পাকিস্তানের টিকেট কেটে এই ট্রেনে উঠে পড়তে পারেন। এই ট্রেনের গার্ড হচ্ছেন ড. ইউনূস, টিকেট মাস্টার হচ্ছেন গৃহপালিত রাজনীতিবিদ আসম রব ও লাশপ্রিয় মান্না। ট্রেনটির নির্মাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ডিজাইনার মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।

জনগণের কাছ থেকে ইতোমধ্যে ‘সুবিধাবাদী এবং ধানাই পানাইয়ের কারিগর’ উপাধি পাওয়া জোনায়েদ সাকীকে (ছবিতে দাঁড়িয়ে থাকা) নিয়ে ছড়াও কেটেছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লেখক আলী আকবর টাবী। 

সাকী একটা পাকি,
জনতাকে দিচ্ছে কেবল ফাঁকি।
সে এখন হেফাজতের মানিক,
ভেড়ার পালের বাছুর পরামানিক।
বাম জোটের মস্ত বড় হাতি,
জনগণ তাকে বলে জামায়াতের বাতি।