চিতলমারীতে পর পর দুটি মারধর ও নারী নির্যাতনের ঘটনা: সাম্প্রদায়ীক সহীংসতার আলামত হিসেবে দেখছে অনেকে

চিতলমারী

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

দুই নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

উপজেলার সদর ইউনিয়নের রায়গ্রামের দেবদাস মণ্ডল ও সঞ্জীত রায়ের বাড়িতে সোমবার বিকেলে প্রতিবেশী শাকিল ওরফে জাহিদ শেখের নের্তৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে । এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক ছিল না। লুটপাটে বাধা দিতে এগিয়ে এলে বৃদ্ধা আয়না মণ্ডল (৭০) ও তার পুত্রবধূ সুমতি মণ্ডলকে (৪০) গাছের সঙ্গে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায় সন্ত্রাসীরা। 

চিতলমারী

সূত্র: ইত্তেফাক

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণের প্রতিবাদে মা-ছেলেকে পিটিয়ে আহত

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মা ও ছেলেকে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষরা। মারাত্মক আহত অবস্থায় বিশ্বজিত বাড়ৈ (১৪) ও তার মা মনিকা বাড়ৈকে (৩৫) চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পিঁপড়ারডাঙ্গায় এই ঘটনা ঘটে। 

চিতলমারী

সূত্র: কালেরকণ্ঠ

বিষয়টিকে এলাকার লোকজন সাম্প্রদায়িক সহীংসতার আলামত হিসেবে ভাবছেন। এরকম ঘটনা বড় ধরনের দাঙ্গা ঘটিয়ে ফেলতে পারে বলে চিতলমারীর নাগরিক সমাজ মনে করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, এখন প্রতিকারমূলত ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন সহ বিভিন্ন কারণে ফুঁসে থাকা সাম্প্রদায়িক শক্তি হামলে পড়তে পারে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর।