বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা: ‘৭১-এর অপশক্তি, ২০০১ এর সাম্প্রদায়ীক নির্যাতনকারী শক্তি আবার একত্রিত হচ্ছে মুখোশধারীদের ছত্রছায়ায়

উইলিয়াম শেকসপিয়র

মুক্তিযুদ্ধে কচুয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, একইভাবে স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তি বিরোধী, মানবতা বিরোধী অপশক্তি রাজাকার বাহিনী এবং হন্তারক পাকিস্তানী বাহিনীর নৃশংসতার ঘটনাও রয়েছে অনেক। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের ভাসা বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রাজাকার বাহিনীর একটি সন্মুখ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। পিছন থেকে অতর্কিতে আক্রমণ করে কিশোর আলফাজ হোসে ননী সহ চারজন মুক্তিযোদ্ধার জীবন কেড়ে নিয়েছিল রাজাকার বাহিনী।   

এছাড়া এ উপজেলার গণহত্যার ঘটনাগুলো খুবই হৃদয় বিদারক। প্রতিটি ইউনিয়নে গণহত্যার ঘটনা পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে কচুয়া সদর ইউনিয়নে ২টি, বাধাল ইউনিয়নে ২টি, গজালিয়ায় ১টি, গোপালপুর ২টি, মঘিয়ায় ৩টি এবং রাড়িপাড়ায় ২টি গণহত্যার সন্ধান পাওয়া গেছে। সবচে’ বড় গণহত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল ৫ নভেম্বর ১৯৭১ তারিখে। রাজাকারেরা বর্বর এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছিল। 

মুক্তিযুদ্ধের পর বিচ্ছিন্নভাবে সাম্প্রদায়ীক সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সীমা ছাড়িয়ে যায়। বাগেরহাটের সকল উপজেলায় তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়, কার্যত প্রতিটি গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ শুধু নয়, প্রগতির পক্ষের সকল মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। 

ভয়ঙ্কের হচ্ছে, তারাই এখন আবার সামনে চলে আসছে। অর্থের জোরে মুখোশধারীদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে তারা জায়গা করে নিচ্ছে কচুয়ারর রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং সাংবাদিকতার মঞ্চে। কাজটি তারা করছে ছদ্মবেশী আওয়ামী লীগ এবং ঐ হিন্দুদের মধ্যেরই কারও কারও ঘাড়ে পা দিয়ে। আবার ছদ্মবেশী আওয়ামী লীগও এ উপজেলায় কম নয়, অভিযোগ উঠেছে প্রেসক্লাবটাও চলে গেছে প্রগতীর বিপরীত পক্ষের লোকদের দখলে। সব মিলিয়ে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা সদর এখন প্রধানত অন্ধকারের শক্তিরই কব্জায়। 


লেখক: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, একজন কচুয়াবাসী। 

সংশোধনের আহ্বান:

শাখারিকাঠি গণহত্যা