লক্ষহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো সেই লোকটা আজ ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে

পাগল
বাধাল বাজার
লোকটি বেঁচে থাকতে দিব্যেন্দু দ্বীপ কৌতুহল বশত তার এই ছবিটি তুলেছিলেন। মি. দ্বীপ বলেন, লোকটিকে আমার পুরোপুরি পাগল মনে হয়েছিল না তখন।

লোকটি বাধাল বাজার সংলগ্ন বাপ্পি ডেকরেটরের সামনে এসে বসত। দিনে এভাবে ঘুরে ফিরে খেত বা খেত না, রাত্রে রাস্তার উপর ঘুমাত। আজ ভোর রাতে (আনুমানিক ৫:৩০ টায়) একটি গাড়ি লোকটিকে বাঁধিয়ে টেনে নিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গাড়িটির আর হদিশ মেলেনি, বেওরিশ লোক হওয়ায় সে বিষয়ে কারো তেমন কোনো আগ্রহও নেই। এটাকে অবশ্যম্ভাবি দুর্ঘটনা হিসেবেই সকলে মেনে নিয়েছে। 

দুর্ঘটনা বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,

“লোকটি একজন অজ্ঞাতানামা পাগল। স্থানীয় লোকজন ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় রাস্তায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় জানায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ নিয়ে গিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে হাজির হই এবং লোকটির পরিচয় জানার চেষ্টা করি। লোকটির পরিচয় না পেয়ে এবং স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে লোকটিকে একজন অজ্ঞাতনামা পাগল হিসেবে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ সাধ্যমত তার দাফনের কাজে সহযোগিতা করেছে। একইসাথে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ, তারা স্বতস্ফুর্তভাবে সহযোহিতার হাত বাড়িয়েছে।”

এ বিষয়ে বাপ্পি ডেকরেটরের সত্ত্বাধিকারী শেখ রাকিবুল ইসলাম বলেন, “লোকটি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে আছে, আমি বিভিন্ন সময়ে তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সবার অজ্ঞাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।বিষয়টিতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি।”

লোকটির সৎকারের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় কয়েকজন। ঘটনাস্থল থেকে অনতিদূরে বাধাল সরকারি প্রথামিক বিদ্যা্লয় (বোর্ড স্কুল) সংলগ্ন বড়বাড়ি জামে মসজিদের পাশে তার দাফন সম্মন্ন করা হয়। দাফন কাজটি হয়েছে স্থানীয় মেম্বার আবেদ আলীর তত্ত্বাবধানে, দাফনের কাজ সম্পন্ন করছেন স্থানীয় কয়েকজন মান্যগণ্য ব্যক্তি, তাদের মধ্যে শেখ মনোয়ার হোসেন এবং বাজার কমিটির সভাপতি ডা: সিদ্দিকুর রহমানের নাম আমরা জানতে পেরেছি। 

লোকটি এভাবে হঠাৎ মারা যাওয়া দুঃখ অনুভব করছে স্থানীয় এবং বাজারের লোকজন। 

দুর্ঘটনা বিষয়ে কথা বলছেন শেখ রাকিবুল ইসলাম।

বাধাল বাজার
মারা যাবার পরের ছবি।