কবি লিয়াকত আলী চৌধুরী ১৯৪৮ সালে গোপালগঞ্জ জেলার গোবরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা: মরহুম ফজলুল করিম চৌধুরী, মাতা: মরহুমা ছকিনা খাতুন।
গোবরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।
কর্মজীবনে খুলনার খালিশপুরে দি ক্রিসেন্ট জুট মিলে ১৮ বছর চাকরি করেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত টলারের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে তার কবিতা লেখার সূচনা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার বালাডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে বসে ১৯৯৫ সালে প্রথম দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ নামে একটি কবিতা লেখেন।
স্কুলটি গড়ার সময় এক ঠিকাদারের অধীনে তিনি কর্মরত ছিলেন সেখানে। তার লেখা কবিতাগুলো মূলত কবিতা শৈলীর চেয়ে আবেগআশ্রয়ী বেশি, তাই কবিতাগুলোতে পাওয়া যাবে অকৃত্রিমতার স্বাদ।
হৃদয়ের গভীর টান তিনি কবিতায় তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। এখনো তিনি লিখে চলেছেন। তিনি সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ প্রার্থী। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম “কবিতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনা”
বৈশাখী সকাল
আমার মনে বলে পহেলা বৈশাখী খুঁজে আনি তোরে,
এক বছর পরে, বঙ্গ ভূমির তরে, জেগেছো ভোরে।
বৈশাখী তুমি ছিলে কল্পনাতে প্রবল স্রোতের নদী,
তোকে ঘিরে নতুন হাসি প্রাণে বাজায় বাঁশি নিরবধি।
নিত্যকালের চেনা তুমি এসেছো গান গাওয়ার ছলে,
তোমায় আমরা পরাই মালা সুনীল গগন তলে।
হেরী, বাঙালির সাথে রয়েছে তোমার প্রণয় লেখা,
দেখি বসন্ত সাঁজে বাঙালির মাঝে এসে দিলে দেখা।
নববর্ষে বাঙালিরা সবাই অঙ্গিকার করে যাই,
কখনও ভূ-পৃষ্ঠে ফ্যাসাদ বিস্তার করবো না তাই।
আজ চাওয়া পাওয়া বহু আশা পুলক শিহরণ,
শিল্পীদের বাসনার বীণা আকুল করে তোলে মন।
মাধুরী মিশানো কণ্ঠে সুরের যাদু মুখে ফোটে হাসি,
মনোসুেখে বৃন্দাবনে কৃষ্ণ বাজায় বাসনার বাঁশি।
আশার স্বপ্নের প্রদীপ জ্বালিয়ে হৃদয় এলো সুখ,
কত লোকের ঢেউয়ের পাহাড় ধারণ করে বুক।
বৈশাখী তোমার মহিমা বাংলায় প্রকাশ করে দিয়ে,
আবার নববর্ষ ফিরে আসবে শুভ বারতা নিয়ে।
এই কবিতাটি কবি বিশেষ সজ্জায় লিখেছেন। কবিতাটির প্রতি লাইনে রয়েছে ১৯টি অক্ষর।