বিষয়টি অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর। তবু বিশ্বাস করে অনেক মানুষ, এরকম অনেক সামজিক কুসংস্কার রয়েছে, এটিও সেরকম একটি কুসংস্কার।
নারী বা পুরুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে তিলের (ছোট কালো দাগ) উপস্থিতি থেকে ভারতবর্ষ-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভবিষ্যৎ বলার রেওয়াজ বহুকাল আগে থেকে চলে আসছে। বেশির ভাগ তিল নারী বা পুরুষের শরীরে জন্ম থেকে বা পরে সৃষ্টি হয়ে থাকে।
(১) কোনও নারীর গলার সামনে কালো বা গভীর বর্ণের তিল সৌভাগ্যের কারণ হয়। তার গলা সুরেলা হয়, সে গান-বাজনায় আকৃষ্ট হয় এবং বিবাহিত জীবনে সুখী হয়।
(২) আর এই তিল যদি নারীর গলার পেছনে থাকে, তার প্রকৃতি খুব উগ্র হয়ে থাকে। তার ব্যবহারে মধুর ভাব থাকে না।
(৩) কোনও নারীর থুতনির ডান দিকে তিল থাকলে সে খুব বাকপটু হয়ে থাকে। তার একটা নিজস্ব ক্যারিশমা থাকে। আর থুতনির বাম দিকে এই তিল থাকলে সে হয় উদ্ধত প্রকৃতির এবং অত্যাধিক অর্থ নষ্ট করে থাকে। এৱ ফলে শেষে দারিদ্রতা ভোগ করে।
(৪) নারীর গালে তিল বিবাহের পরে আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন বোঝায়।
(৫) নারীর ঠোঁটের ঠিক উপরে তিল বোঝায় ধনী বা স্বচ্ছ্বল আর্থিক অবস্থা কিন্ত উদ্ধত ও গোঁয়ার প্রকৃতির।
(৬) জ্যোতিষ মতে কোনও নারীর পায়ের পাতায় তিল থাকলে সে ভ্রমণ প্রিয় বা কর্ম উপলক্ষে আয়ের জন্য তাকে ভ্রমণ করতে বাধ্য হয়। অনেকের বিবাহ উপলক্ষে বিদেশে বাস করতে হয়।
(৭) কোনও নারীর ডান করতলের ঠিক মাঝখানে প্রায় হৃদয় ও শিরোরেখার মধ্যে তিল থাকলে সে প্রচুর অর্থের মালিক হয়।
(৮) নারীর কোমরে তিল থাকলে আনন্দঘন জীবন হয়। কিন্তু তার মন খুব ঘোলাটে হয়ে থাকে বা তার ব্যবহারে অপরে সন্তুষ্ট হয় না।
(৯) নারীর ঘাড়ে তিল তার আকৃষ্টময় ব্যাক্তিত্ব বোঝায়।
(১০) ভ্রূর কাছাকাছি তিল বোঝায় জন্ম থেকেই নেতৃত্বদানের অধিকারী থাকা।
(১১) আজ্ঞাচক্রে বা দুই ভ্রূর মাঝে তিল বোঝায় ভাল ভাবে স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত জীবন।
(১২) নাকের চার পাশে তিল থাকলে সে নারী নিজে ধনী হয় বা ধনী পরিবারে জন্ম বা বিবাহ হয়।