২৪ জুন (২০২৪), “স্বাভাবিক প্রসব—উপকারিতা ও করণীয়” বিষয়ে একটি সেমিনার সমাজকর্মী বিভূতি রায়ের উদ্যোগে বটিয়াঘাটা উপজেলার বৃত্তি খলসিবুনিয়া চিকিৎসা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সচেতনতামূলক এ সেমিনারটি বাস্তবায়নের সহযোগিতা করেছে খেদমত ট্রাষ্ট (বৃত্তি খলসিবুনিয়া, বটিয়াঘাটা)। আয়োজন করেছে ‘গরিয়ারডাংগা মানব কল্যাণ সংস্থা’। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভুতি রায়, পিএইচডি। প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক্তার এস. এম. মালেক, বক্তা হিসেবে ছিলেন চন্দ্রা রায় (মিডওয়াই, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, বটিয়াঘাটা), ইতি বালা (ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ফ্যাকালটি, সার্টিফিকেট ইন মেডিকেল আল্ট্রাসনোগ্রাম)।
বক্তারা বলেন, এক সময় বাংলাদেশে স্বাভাবিক প্রসব বেশ প্রচলিত হলেও বর্তমানে সিজারিয়ান সেকশনের হার বেশি দেখা যাচ্ছে। স্বাভাবিক যেকোনো কিছুই অনেক সুবিধাজনক, এটা প্রাকৃতিক, মা এবং নবজাতকের জন্য উপকারী। সি সেকশনের (সিজারিয়ান সেকশন—পেটের নিচের অংশ কেটে নবজাতক প্রসব করানোর যে পদ্ধতি) অনেক জটিলতা রয়েছে, তাই একান্ত বাধ্য না হলে এটা নিরুৎসাহিত করা দরকার। একবার সি সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা হলে পরবর্তীতেও একই প্রক্রিয়ায় বাচ্চা প্রসব করতে হয়। এটা মা ও নবজাতকের জন্য কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। স্বাভাবিক নিয়মে প্রসব হলে, পরবর্তী সময়ে যেসব প্রসব হয় সেগুলোও সাধারণত স্বাভাবিক হয়। তবে এক্ষেত্রে পরীক্ষা নীরিক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। স্বাভাবিক প্রসব হলে হাসপাতালে বেশিদিন থাকা লাগে না, নবজাতক ও মা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়, খরচ কম হয়, মায়ের পেটে ক্ষত সৃষ্টি হয় না। স্বাভাবিক প্রসব হলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, অসুস্থ কম হয়।