অন্যান্য পণ্যের মতো স্বর্ণ ক্রয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র থাকে না

কোলকাতা

পণ্য হাত বদলের ইতিহাস থাকে ক্যাশ মেমোতে। বাংলাদেশে খুচরো বিক্রির ক্ষেত্রে মেমো দেওয়ার রীতি সীমাবদ্ধ হলেও পাইকারি কেনাবেঁচায় মেমো থাকে। কিন্তু স্বর্ণ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।

ফলেআপ নিউজ এ বিষয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছে। তারা (ব্যবসায়ীরা) কোনো মেমো বা চালান দেখাতে পারলেন না। বাগেরহাট জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলয় ভদ্র জানালেন— স্বর্ণ মানুষ বিক্রি করে, ফলে পুরনো স্বর্ণ আমাদের ব্যবসার একটি বড় উৎস। এর বাইরে ব্রোকার মার্কেট থেকে সংগৃহীত হয়। এজন্য ক্রয়ের কাগজপত্র খুচরা বিক্রেতাদের থাকে না।

প্রশ্ন হচ্ছে— এ ব্যবসার তদারকি সরকারি প্রতিষ্ঠান কোনটি?

অলংকার কোথা থেকে আসে?

যেহেতু স্বর্ণ বৈধ পথে আসে না, ফলে একথা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়— গয়নাটি কোন দেশের। বিদেশ থেকে স্বর্ণের বারের পাশাপাশি লাগেজে গয়না আসে, ইন্ডিয়ায় সোনার বার যায় এবং রেডিমেড গয়না আসে। এর বাইরে এখনো কুটিরশিল্পই স্বর্ণালংকারের বড় উৎস। বসুন্ধরা গ্রুপ একটি বড় কারখানা স্থাপনের চেষ্টা করলেও বাস্তবে সেটি সফল হয়নি। ফলে অলংকার তৈরীর বড় উৎস এখনো কর্মকারপট্টি বা স্বর্ণকারপট্টি। তারা পুরনো গয়না ঘষামাজা এবং ভাঙ্গাগড়ার কাজ যেমন করে, পাশাপাশি বার থেকেও গয়না উৎপাদন করে।