
১৮৮৬ সাল থেকে সুন্দরবন থেকে মধু আহরণের অনুমতি দেওয়া শুরু হয়। এর আগে ১৮৬০ সাল থেকে সুন্দরবনের মধু বাণিজ্যিকভাবে সংগ্রহ শুরু হয় বলে জানা যায়। বনসংলগ্ন কয়েকটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বংশ পরম্পরায় মধু সংগ্রহ করে আসছে। তবে কয়েক দশকে মধু সংগ্রাহকের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের মানুষ যুক্ত হয়েছে। বেড়েছে সুন্দরবনের মধুর চাহিদা।
তবে সুন্দরবন থেকে ইচ্ছেমতো মধু আহরণের সুযোগ নেই। এজন্য বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি পেলে মধু সংগ্রহের জন্য বছরের ১ এপ্রিল থেকে তিন মাসের (এপ্রিল, মে ও জুন) জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করা যায়।

এর বাইরে সুন্দরবন থেকে চোরাগোপ্তা কিছু মধু যে আহরণ করা হয় না তা নয়। তবে গত কয়েক বছরে এ পরিমাণ অনেক বেড়েছে। সুন্দরবনের গায় অবৈধভাবে অনেক রিসোর্ট গড়ে ওঠায় বিলাসী মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। অনেকেই এলাকাবাসীর কাছ থেকে সুন্দরবনের খাঁটি মধু কিনতে চায়। এ কারণে সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামবাসীর মধ্যে অবৈধভাবে মধু সংগ্রহের প্রবণতা বেড়েছে। কারণ, কোনোভাবে কিছু মধু সংগ্রহ করে এনে রিসোর্টেবিলাসীদের কাছে বিক্রয় করতে পারলে তাদের তাতে ভালো লাভ হচ্ছে। আবার রিসোর্ট মালিকেরাও মৌয়ালদের ঘাড়ে পা দিয়ে সুন্দরবনের মধুর ব্যবসায় ভাগ বসাতে চাচ্ছে।