দীর্ঘদিন ধরেই দামী সিগারেটগুলো নকল করে বাজারজাত করা হয় বলে ক্রেতা এবং কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে।

খুলনার বাজারের ওপর একটি অনুসন্ধান পরিচালনা করে ফলোআপ নিউজ এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নকল বেনসন বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে বলে খুলনার বড় বাজারের এমন দু’জন ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছেন অন্য ব্যবসায়ীরা।
খুলনার কয়েকটি চা সিগারেটের দোকান থেকে বেনসন সিগারেট সংগ্রহ করে কোম্পানির কাছে পাঠালে এ অভিযোগের সত্যতা মেলে।
তবে খুচরা বিক্রেতারা জানাচ্ছেন— তারা আসল নকল সম্পর্কে অবগত নন। কোথা থেকে সিগারেটগুলো কিনে আনেন জানতে চাইলে ফলোআপ নিউজ-এর প্রতিবেদকের কাছে সুস্পষ্টভাবে কেউ কিছু বলেননি।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ব্যান্ডরোল থাকে। কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানকে প্যাকেটের গায়ে ব্যান্ডরোল লাগিয়ে বাজারজাত করতে হয়। ব্যান্ডরোল বিক্রির মাধ্যমেই সরকার সিগারেট থেকে রাজস্ব আদায় করে থাকে। নকলকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা এ ব্যান্ডরোল লাগিয়ে নেয়।

নতুনভাবে আবার শুল্ক আরোপের ফলে খুচরা বাজারে প্রতি শলাকা বেনসন সিগারেট বিক্রি হয় ২০ টাকায়। শুল্ক ফাঁকি এবং কোম্পানিকে ফাঁকি দিয়ে বাজারজাত করার ফলে নকলকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। শুধু বেনসন নয়, তারা নামী সকল কোম্পানির সিগারেট নকল করে থাকে বলে জানা গিয়েছে।