মোংলা কাস্টমস্ দেশের ৩২ টি কাস্টমস্ হাউজের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত কাস্টমস্। মোংলা কাস্টমস্ ঘিরে অনেক অভিযোগের মধ্যে একটি হচ্ছে— এই কমিশনারেটে চাকরিরতো অনেকে নিয়মিত অফিস করেন না।
কাস্টমস্-এ একটি কথা খুব প্রচলিত আছে— নন-টেকার এবং টেকার। এটা এক ধরনের ‘ইউফিমিজম’। ঘুষ খাওয়া না-খাওয়া বুঝাতে এটি ব্যবহৃত হয়।
অফিস ফাঁকি দেওয়ার সবচেয়ে ‘বৈধ উপায়’ হচ্ছে নন-টেকার হয়ে যাওয়া। মাল কামাতে হলে ফিল্ডে থাকতে হবে। তবে কেউ যদি মনে করে পরিবারের প্রয়োজনে সে কিছুদিন অফিস করবে না, বা নিয়মিতই অফিস ফাঁকি দিতে চায়, তবে সে সুযোগ মোংলা কাস্টমস্-এ রয়েছে।
মোংলা কাস্টমস্-এর অনেক কর্মকর্তাই খুলনায় থাকেন, এবং নিয়মিত অফিস করেন না। তারা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের চুক্তি করে নেন, এবং চুক্তি মোতাবেক চলেন। ফলে এতে অফিসের এবং তাদের কোনো সমস্যা হয় না। কাস্টমস্ কেউ ‘ওএসডি’ হতে চাইলে অন্য কর্মকর্তাদের জন্য সেটি আশির্বাদ।
সম্পর্কিত সংবাদ