প্রতিষ্ঠানগুলোর সিএসআর (কর্পোরেইট সোস্যাল রেসপনসিবলিটি) পালন করার জন্য হন্যে হয়ে সামাজিক সংগঠনের পিছনে দৌঁড়ানোর কথা। সেখানে সামাজিক সংগঠনগুলো তাদের কাছে উদয়াস্ত দৌঁড়েও কোনো ফান্ড ম্যানেজ করতে পারে না। তারা কোনো পাত্তাই দেয় না।
খুলনার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ফলোআপ নিউজ অনুসন্ধান পরিচালনা করে দেখেছে— অনেক প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স ফাইলে বড় অংকের সিএসআর দেখালেও প্রকৃতপক্ষে সামাজিক কাজে ব্যয় করার নজির এদের বেশিরভাগেরই নেই। খুলনার কিছু প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স ফাইলের তথ্য তথ্য-অধিকার আইনে দেখতে চায় ফলোআপ নিউজ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী সিএসআর বাধ্যতামূলক। কোন খাতে কত ব্যয় করতে হবে সেটিও বেঁধে দেওয়া আছে।
সিএসআর-এর ৩০ শতাংশ দিতে হবে স্বাস্থ্য খাতে। যা এতদিন ছিল ২০ শতাংশ। এছাড়া পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা খাতে ব্যয়ের হার বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। শিক্ষা খাতে ব্যয়ের হার আগের মতোই ৩০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা আছে। এই নিয়ম মেনে সিএসআর করছে কি প্রতিষ্ঠানগুলো?
সিএসআর খাতে প্রথমবারের মতো ২০০৮ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে দিকনির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। ২০১৪ সালে সিএসআর খাতে ব্যয় বিষয়ে নীতিমালা জারি হয়। পরে আরও বিস্তৃত নীতিমালা হয়েছে। ওই নীতিমালায় অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে এমন সব খাত নিয়ে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। অবহেলিত, প্রান্তিক মানুষ, পথশিশুদের জন্য বেশি ব্যয় করার কথা বলা হয়।
সম্পর্কিত সংবাদ
দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিএসআর খাতে বরাদ্দ, খরচ ঠিকভাবে হিসাব করা হয়না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিএসআর ব্যয়ের ৫৮ শতাংশ ১০ ব্যাংকের, পাঁচটি শূন্য
সিএসআর খাতে ব্যয় কমেছে ৩০৭ কোটি টাকা
সিএসআর ব্যয়ে শীর্ষে মার্কেন্টাইল ব্যাংক
যেসব খাতে বিনিয়োগ করলে আপনাকে আয়কর কম দিতে হবে