জানা গেছে, উপজেলার সাবেক নীলকোমল বর্তমান নুরাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নজির মাঝির হাট এলাকার নজির মাঝির ছেলে মো. কামরুল ইসলাম কাজল (৩০) এর সাথে প্রায় এক বছর ধরে পাশ্ববর্তী এলাকার মো. মনিরের স্ত্রী নুর নাহার (২৬) এর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বিষয়টি স্বামী মনির টের পেলে নাহারকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এসুযোগ কাজে লাগিয়ে কাজল নুর নাহারের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক আরো গভীর হয়ে ওঠে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে কাজল তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে নাহারকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে তাকে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করে।
নির্যাতিত নুর নাহার অভিযোগ করে বলেন, কাজল আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ভোলা, বরিশাল ও ঢাকার বিভিন্ন বাসায় নিয়ে আমার সাথে স্ত্রীর মতো রাত কাটিয়েছে। বধুবার বিয়ের দাবি নিয়ে কাজলের বাড়িতে গিয়ে উঠলে উপজেলা যুবলীগ সদস্য কাজল ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে সুপারী গাছের সাথে বেঁধে এলোপাতাড়িভাবে কয়েক দফা অমানুষিক নির্যাত করে। নুর নাহার আরো বলেন, কাজল আমার সংসার নষ্ট করেছে, আমাকে বিয়ে না করলে আমি তার বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করবো।
এদিকে অভিযুক্ত যুবলীগ সদস্য কামরুল ইসলাম কাজল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটি আমার বাড়িতে এসে আমার বোনের মেয়েকে অপহরণ করতে চেয়েছে তাই বাড়ির লোকজন তাকে ধরে মারধর করেছেন।
এ ব্যাপারে নুরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাজল যে কাজটি করেছে তা আসলে লজ্জাজনক । এ জন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। যাতে এ রকম অপরাধ সমাজে আর না ঘটতে পারে।
লালমোহন র্সাকেলের এএসপি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কাজলকে গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে যুবলীগ নেতা কাজলের শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা কাজলের বিরুদ্ধে আরো একাধিক নারী কেলেংকারী, ভেজাল পেট্রোল বিক্রিসহ চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনার অভিযোগ রয়েছে।