১। ধরুণ, কোথাও কাজে যাচ্ছেন, নির্দিষ্ট একটা কাজে তো যাচ্ছেন, বেরোনোর আগে একটু চিন্তা করুন যে, ওখানে আর কোনো কাজ আপনার আছে কিনা। এরকম কিন্তু হয়। একসাথে কয়েকটা কাজ সেরে আসতে পারার মজাই আলাদা।
যেমন, আমি আজকে কাকরাইল গিয়েছিলাম একটা কাজে। কাজটা করে আসলাম, এসে মনে পড়ল, হায়! একইসাথে ভোটার আইডি কার্ড তোলার জন্য টাকাটাও তো সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে আসতে পারতাম।
২। খুব জ্যাম, বাসের মধ্যে মারাত্মক গাদাগাদি থাকলে নেমে যেতে পারেন, গিয়ে আশেপাশে একটু নিরিবিলিতে বসেন, বসার জায়গা না পেলে আস্তে আস্তে গন্তব্যের দিকে হাঁটতে থাকতে পারেন মানুষের নানান ধরনের কার্যকলাপ দেখতে দেখতে। মোবাইল ক্যামেরায় টুকটাক ছবিও তুলতে পারেন। জীবন মানে শুধু গন্তব্যে ছোটা নয়, মাঝপথেও অনেক কিছু থাকে।
৩। ব্যাগে পানি রাখাটা খুব জরুরী। এ অভ্যেস আমাদের একেবারেই নেই। শুনেছি বেশিরভাগ উন্নত দেশের মানুষ আর কিছু না হোক ব্যাগে পানি রাখে। একবারে দুই-তিন গ্লাস পানি পান করার চেয়ে মাঝে মাঝে কিছু পানি পান খুবই উপকারী।
৪। পথে ঘাটে শুধু বিরক্ত না হয়ে, ভাব নিয়ে না থেকে, হেলপার-কন্ড্রাকটর, রিক্সালা, অথবা কোনো পথচারীর সাথে খুনসুটি করতে পারেন, এতে মন ভালো হয়, পরিবেশও শান্ত থাকে। দোকানে গেলেন, শুধু জিনিস কিনে নিয়ে চলে আসলেন, তা কেন? দোকানদারের সাথে কুশল বিনিময় করেন, তার ব্যবসার খোঁজ-খবর নেন, অথবা অন্য কোনো কথা বলেন।
৫। কথা বলতে হবে শব্দ করে আত্মবিশ্বাসের সাথে, ম্যানম্যান করা যাবে না। অপরিচিত কোথাও গেলে, যেমন, রেস্টুরেন্টে ঢুকে ভদ্রভাষায় কিন্তু চড়াগলায় (কর্কশ না) অর্ডার করতে হবে, প্রথমেই পারলে দুএকটা প্রশংসা করতে হবে। যেমন, বললেন, ভাই দেয়াল ঘড়িটা তো খুব সুন্দর। কোথা থেকে কিনেছেন? অর্থাৎ প্রশংসা করাটা খুব জরুরী, এতে পরিবেশ শান্ত হয়।
অর্থাৎ জীবনটাকে সহজ করে নিতে হবে, এবং বুঝতে হবে— সামনের মানুষটা শয়তান নয়, বরং সেও সংগ্রাম করছে টিকে থাকার জন্যে, একটু ভালো থাকার জন্যে।
#দিব্যেন্দু দ্বীপ