‘গণহত্যার দায় এড়াতেই তুরস্ক বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে’

1

আর্মেনিয়া-গ্রীসের গণহত্যার দায় এড়াতেই তরস্ক যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজধানীর ডব্লুভিএ মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এ কথা বলেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে তুরস্কের অবস্থানের সমালোচনা করে শাহরিয়ার কবির বলেন: মোল্লাতন্ত্রে বিশ্বাসী এরদোয়ানের বিচারের জন্য সে দেশের বুদ্ধিজীবীরা অচিরেই গণআদালাত বসানো চিন্তা ভাবনা করছে । সিরিয়ায় গণহত্যা চালানোর জন্য তাকে দায়ী করা হচ্ছে। আজ সে তার জাত ভাই জামায়াতকে বাঁচাতে কোমড়ে কাপড় বেঁধে নেমেছে।

তুরস্ক থেকেত শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতীয় উপমহাদেশে একমাত্র বাংলাদেশেই ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। তাই শেখ হাসিনার সরকারকে এখনই সতর্ক হতে হবে। সামনে আরও চক্রান্ত অপেক্ষা করছে।

মিসরে মুরসি সরকারের পতনের উদাহরণ টেনে এনে এদেশে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করে তিনি বলেন, মিশরের ২৫ শতাংশের ওপর মানুষ মুসলিম ব্রাদারহুড অর্থাৎ মৌলবাদতন্ত্রে বিশ্বাসী সেখানে বাংলাদেশে জামায়াতের সমর্থন ৫ শতাংশের ওপর নয়। সিসি সরকার যদি মুসলিম ব্রাদার হুড নিষিদ্ধ করতে পারে, তাহলে আমরা কেনো জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারছি না।

তবে এখনও আশার আলো দেখছেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসির মামুন। তিনি বলেন, সব বাতি এখনও নিভে যায়নি। এই বাতিগুলো এক হলে আবারও কিছু করা সম্ভব। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

আলোচনা সভা শেষে দুই ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে জাহানারা ইমাম স্মৃতি পদক প্রদান করা হয়। এবারের পদক প্রাপ্তরা হলেন: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মফিদুল হক। প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জাহানারা ইমাম স্মৃতিপদক লাভ করে।

# মাহবুব মোর্শেদ