অধ্যাপক তানভীর আহমদের কাছে নিরাপদ বোধ করছে না বিভাগের শিক্ষার্থীরা

অধ্যাপক তানভীর আহমদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বিভাগের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে তানভীর আহমদকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার আবেদন জানিয়েছে। রবিবার বিভাগের শিক্ষক আকতার জাহান জলির শোকসভা শেষে শিক্ষার্থীদের ‘গণস্বাক্ষর’ সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগপত্রে এ দাবি জানানো হয়।

বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডের কাছে জমা দেওয়া এ অভিযোপত্রে বলা হয়, ‘সম্প্রতি আমাদের বিভাগের মা তুল্য শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাদের শিক্ষক আকতার জাহানকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের কথা।

এ নির্যাতনের সঙ্গে তার সাবেক স্বামী ও  বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমদের জড়িত থাকার বিষয়টিও উঠে এসেছে। এমনকি আকতার জাহানের জানাজা সম্পন্ন হওয়ার আগেই তানভীর আহমদ অত্যন্ত নগ্নভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ম্যামের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেন। যা আমাদেরকে অত্যন্ত মর্মাহত ও ব্যথিত করেছে। এছাড়া ‘সুইসাইড নোটে’ আকতার জাহান উল্লেখ করে গেছেন, তার সন্তানও তানভীর আহমদের কাছে নিরাপদ নয়।

একই সঙ্গে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও এই শিক্ষকের চরিত্র নিয়ে নানা ধরনের ঘটনা উঠে এসেছে। এমতবস্থায় বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা অত্যন্ত আতঙ্কিত, ভীতসন্ত্রস্ত ও উদ্বিগ্ন এবং তানভীর আহমদের কাছে কোনোভাবেই নিজেদেরকে নিরাপদ বোধ করছি না।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আকতার জাহানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তানভীর আহমদ সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে আকতার জাহানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।