শুধুমাত্র নাস্তিকদের জন্য একটি কবরস্থান চালু হল সুইডেনে। সে দেশে ক্রমেই বাড়ছে ধর্মে অবিশ্বাসীদের সংখ্যা। সেই জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখেই চালু হল এই কবরস্থান। তবে ধর্মবিশ্বাসীরাও এখানে সমাধিস্থ হতে পারবেন। কিন্তু সমাধির ওপর যে প্রস্তরখণ্ড থাকবে, সেখানে কোনও ধর্মীয় চিহ্ন থা
কা চলবে না।
২০১৫ সালের গাল্লুপ ইন্টারন্যাশনাল অ্যন্ড ডব্লিউআই নেটওয়ার্ক অফ মার্কেট রিসার্চ অনুযায়ী সুইডেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাস্তিক জনসংখ্যার দেশ। গবেষণা বলছে, ৭৬% সুইডিস হয় নাস্তিক না হয় অধার্মিক। আর কমিউনিস্ট দেশ চিন সরকারি ভাবেই অধার্মিক।
মধ্য সুইডেনের বোরলেঞ্জ-এর এক শিক্ষক জোসেফ এরডেম প্রথম এমন একটি সমাধিক্ষেত্রের প্রস্তাব দেন। তাঁর মনে হয়েছি
ল, কে কেমন ভাবে তাঁর সমাধিকে সাজাবেন সেটা তাঁর নিজের স্থির করার অধিকার থাকা উচিত। তিনি প্রথমে চার্চ অফ সুইডেনের স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তারপর আবেদন পত্র জমা দেন। তাঁর মতে, মানুষ তাঁর ইচ্ছা, বিশ্বাস অনুযায়ী সমাধিস্থল সাজাতেই পারেন। কিন্তু কবরখানা সব সময় সর্ব ধর্ম ও জাতির নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া উচিত।
এই কবরস্থানটি চার্চ অফ সুইডেনই রক্ষণাবেক্ষণ করবে তবে তার চেয়ে বেশি কোনও ভূমিকা থাকবে না তাদের।
এরডেম জানান, এই বিষয়ে তিনি বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ধার্মিক, কিন্তু তাঁদের সিংহভাগই এই বিষয়ে উৎসাহী। তাঁর মতে, দেশ জুড়ে ধার্মিক বা নাস্তিক সকলেরই মতামত প্রায় এক। এরডেমের অভিজ্ঞতা, ধর্মবিশ্বাসীরা যা বিশ্বাস করেন তা তাঁরা কখনওই তাঁদের সমাধিপ্রস্তরে তুলে ধরতে চান না।
চার্চ অফ সুইডেনের লাগোয়া এই কবরস্থানটি এখনও অবধি ফাঁকা। তবে অনেক নাস্তিক মানুষ সেখানে সমাহিত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
সংবাদ: অনলাইন থেকে সংগৃহীত, সূত্র: breitbart.com