প্রতিনিয়তই চুরির ঘটনা ঘটছে, সবচেয়ে বেশি ঘটছে সরকারি অফিশ-আদালতে, সেখানে হয়ত মার্গারেথা কুয়েলিনির মত একজন রাষ্ট্রদূত এবং একটি দেশের কাছে লজ্জা নিবারণের বিষয় থাকছে না, কিন্তু হেরে যাচ্ছে নিজের দেশ, দেশ মাতৃকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের একটি অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করতে এসে ব্যাগ হারান ডাচ রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারেথা কুয়েলিনারি। গত সোমবার ব্যাগটি কৌশলে হাতিয়ে নেয় এক চোর, যার ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ায় ধরা পড়েছে চোর, উদ্ধার হয়েছে রাষ্ট্রদূতের খুয়া যাওয়া জিনিসপত্র। ডাচ রাষ্ট্রদূতের ব্যাগটি চুরি যাওয়াতে লজ্জায় পড়েছিল একটি দেশ আরেকটি দেশের কাছে, তাই এই চুরি যাওয়া এবং উদ্ধার হওয়া উভয়ই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যে আত্মসম্মানের জাগরণ ঘটেছে, যেভাবে সবাই বিষয়টিকে নিজের ভেবে নিয়েছে, অপমান বোধ করেছে, তা এককথায় অসাধারণ। এটা যেন আত্মসম্মানই হয়, শুধু লোক দেখানো অহংকার না হয়। এ থেকে যেন এই উপলব্ধি হয় যে চুরি অসম্মানের, অমর্যাদার। এটা শুধু এক বিদেশীর কাছে প্রমাণ করার বিষয় নয়, মর্যাদা প্রমাণ করতে হবে সত্যিকার অর্থে সকল ধরনের চুরি-দুর্নীতি থেকে দেশকে মুক্ত করে, তাহলে এই জাগরণ সত্য হবে, আত্মসম্মানের হবে। প্রতিনিয়তই চুরির ঘটনা ঘটছে, সবচেয়ে বেশি ঘটছে সরকারি অফিশ-আদালতে, সেখানে হয়ত মার্গারেথা কুয়েলিনির মত একজন রাষ্ট্রদূত এবং একটি দেশের কাছে লজ্জা নিবারণের বিষয় থাকছে না, কিন্তু হেরে যাচ্ছে নিজের দেশ, দেশ মাতৃকা।