ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, ভোট চাইবার সময় রাজনীতিকরা ধর্ম বা জাতপাতের ব্যবহার করতে পারবেন না।
“নির্বাচনী প্রক্রিয়া একটি ধর্মনিরপেক্ষ তৎপরতা। এতে ধর্মের কোন ভূমিকা নেই,” আদালত তার রায়ে উল্লেখ করেন।
রায়ে আরো বলা হয় ধর্ম বা বর্ন প্রথাকে ব্যবহার করে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আইনে দুর্নীতি বলে বিবেচনা করা হবে।
এই ঐতিহাসিক রায়টি এমন এক সময়ে দেয়া হলো যখন আর কয়েক সপ্তাহ পর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
পাশাপাশি পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মনিপুরের রাজ্য বিধান সভাতেও নির্বাচন আসছে।
প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের সাতজন বিচারকের একটি বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।
মহারাষ্ট্র রাজ্যে ১৯৯০ সালে দায়ের করা এক মামলার শুনানির সময় এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
এই রায়ের মাধ্যমে সে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার অবসান ঘটলো।
তবে রায়টি সর্বসম্মত ছিল না। চারজন বিচারপতি রায়ের পক্ষে মতামত দেন। তিনজন বিচারপতি রায়ের সাথে একমত হতে পারেননি।
যে তিন বিচারপতি ভ্ন্নিমত প্রকাশ করেন, তারা বলেন যে ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার অধিকারকে সংবিধানে গ্যারান্টি দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি সুরাহা করতে সংসদে আলোচনা করা উচিত বলে ঐ তিন বিচারক মনে করেন।
ভারতের নির্বাচনে ধর্ম এবং জাতপাত অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বেশিরভাগ দলই প্রার্থী মনোনয়ন কিংবা প্রচারের সময় এই বিষয়গুলোকে বিবেচনার মধ্যে রাখে।
খবর : বিবিসি বাংলা