মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুর ও সাবাহ প্রদেশ থেকে চার সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি, একজন ফিলিপিনো এবং অপর সন্দেহভাজন মালয়েশিয়ার নাগরিক।
সোমবার মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান খালিদ আবু বকর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ফিলিপাইনের মিন্দানাও প্রদেশ থেকে পরিচালিত একটি জঙ্গি গ্রুপে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বলে দাবি পুলিশের। ওই জঙ্গি গ্রুপটির প্রধান মাহমুদ আহমাদ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষক।
খালিদ আরও জানান, এই গ্রুপটি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মিয়ানমার থেকে কর্মী সংগ্রহ করে ফিলিপাইনে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা হিসেবে সাবাহ প্রদেশকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিল।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নাম প্রকাশ করেনি। তবে তাদের বয়স ২৭ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে বলে উল্লেখ করা হয়।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ জানুয়ারি সাবাহ প্রদেশ থেকে আটক সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন ফিলিপাইনের নাগরিক, আরেকজন মালয়েশীয় নারী। তারা বিয়ের বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওই ফিলিপিনো নাগরিক একজন ঘড়ি বিক্রেতা। তিনিই অন্যদের জঙ্গি গ্রুপে টানতে উৎসাহিত করছিলেন বলে পুলিশ প্রধান জানান।
গত ১৯ জানুয়ারি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুয়ালা লামপুর থেকে দুই বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।
পুলিশ প্রধান খালিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে আইএস-এর পরিচালিত গ্রুপের সঙ্গে আটক ওই দুই সন্দেহভাজনের যোগাযোগ থাকতে পারে।’
তবে বাংলাদেশ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বরাবরই দেশে আইএস-এর কোনও সাংগঠনিক তৎপরতা নেই বলে দাবি করা হয়েছে।
ওই গ্রুপটি ফিলিপাইনের আইএস সমর্থক জঙ্গি সংগঠন আবু সাইয়াফ-এর সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গত বছর জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই মালয়েশিয়ায় সতর্কতা জারি করা হয়। এর আওতায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ ব্যাপক নজরদারি চালিয়ে আসছে। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মালয়েশীয় পুলিশ আইএস সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অন্তত ২৫০ জনকে আটক করেছে।