মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতার একজন এএইচএম কামারুজ্জামানের স্ত্রী জাহানারা জামান মারা গেছেন।
রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার গুলশানে নিজের বাসায় তার মৃত্যু হয় বলে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর উপসম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ লিমন জানান।
তিনি বলেন, “জাহানারা জামানের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় তিনি ভুগছিলেন।”
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে বন্দি থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগরে গঠিত বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে গঠিত অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। বাংলাদেশ তাদের স্মরণ করে চার জাতীয় নেতা হিসেবে।
১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান চলে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার রাজনৈতিক সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী এবং কামারুজ্জামানকে আটক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। প্রতিবছর দিনটিকে জেল হত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করে বাংলাদেশ।
জাহানারা-কামারুজ্জামানের চার সন্তানের মধ্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ইমতিয়াজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরড ডটকমকে জানান, জাহানারা জামানের মৃতদেহ রাজশাহী এনে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে স্বামীর কবরের পাশে দাফন করা হবে।
তবে ঢাকা থেকে মৃতদেহ কখন রাজশাহী নেওয়া হবে, জানাজা কখন হবে সে বিষয়ে পরিবার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে ইমতিয়াজ আহমেদ জানান।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় চার নেতার অন্যতম কামারুজ্জামানের স্ত্রী জাহানারা জামানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক শোকবার্তায় কামরুজ্জামানের সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের পেছনে জাহানারা জামানের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
সূত্র : বিডি নিউজ