নতুন ধর্ম, নতুন ঈশ্বর

নিকৃষ্ট এ সময়, তবু আমি তৃপ্ত।
জুতোর পাতলা হয়ে যাওয়া তল হতে
পিনটা খুলে আবার পথ চলি

অবিরাম, ছন্দে-তালে-লক্ষ্যে।
সকালের ডিম সন্ধ্যেয়ও অক্ষত,
শিশুটিও

তবে কি আমার পিছু নিয়েছে?
এই অকালে সংযম শিখেছে সেও
জীবনের প্রথম বছর না পেরোতেই!
আমার প্রতিচ্ছবি দিগুণ হয়ে

আমাকে ভোলায়!
কত দুঃখ দিতে পারো তুমি?
সব ফিকে তুমি যত, তোমরাও।
সন্ধ্যে হলে আলো ফোটে আবার

যখন দেখি,
অক্লান্ত নারী ঝুড়ি মাথায় হাঁকে—

লাগবে ছাই ? লাগবে ছাই? লাগবে ছাই?



গুটি গুটি পায়ে আমাকে এগিয়ে
যেতে হয়–
প্রথমে স্ত্রী, এরপর মাতা-পিতার
চোখ এড়িয়ে।
তোমার আসার কথা মধ্যরাতে,
আমরা ধাবমান

লক্ষ্যে নিবিষ্ট হয়ে, সত্যে।
আজ রাতটুকু পূর্ণ হলে
ভোর থেকে

আমাদের জীবনের জয়গান।



ধেয়ে আসছে নতুন দেশ এক
এক চক্র ঘুর্ণন শেষে।
ঘুর্ণায়মান সভ্যতা কখনো
আধুনিক হয় না, হয় কি তা?
প্রযুক্তি বলে দ্রুত বৃত্ত ঘুরে

আবার আমাদের

পড়তে হবে ঠিকই সেকালে।
আবার শুরু নতুন করে,
নতুন ধর্ম, নতুন ঈশ্বর, নতুন সব।

 

দিব্যেন্দু দ্বীপ