মাদকের নেশা বন্ধ করলে এ কাজে শ্রমিক মিলবে না হয়ত

কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই পয়ঃপ্রণালী পরিষ্কার করতে (ওয়াসার কাজ) নামিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি শিশুকে!
কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই পয়ঃপ্রণালী পরিষ্কার করতে (ওয়াসার কাজ) নামিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি শিশুকে!
কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই পয়ঃপ্রণালী পরিষ্কার করতে (ওয়াসার কাজ) নামিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি শিশুকে!
ম্যানহোলের পাশে বসে থাকা এই শিশুটিও একই কাজে নিয়োজিত।
ম্যানহোলের পাশে বসে থাকা এই শিশুটিও একই কাজে নিয়োজিত।
একটু দূরেই আরেকটি ম্যানহোলের পাশে মনে হল এরা একটি পরিবার। ছবি তুলতে গেলে মুহূর্তে যে যার পজিশন নিতে শুরু করল। বোঝা গেল- জীবন ক্ষুধা কতটা জমা রয়েছে তাদের!
একটু দূরেই আরেকটি ম্যানহোলের পাশে মনে হল এরা একটি পরিবার। ছবি তুলতে গেলে মুহূর্তে যে যার পজিশন নিতে শুরু করল। বোঝা গেল- জীবন ক্ষুধা কতটা জমা রয়েছে তাদের!

জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজ না পেলে আপনি কি এই কাজটি করতে প্রস্তুত আছেন? ব্যক্তিগতভাবে আমি রাজি নই। ওরা কি কাজটি আসলে বাঁচার জন্য করছে? আসলে কি ওরা বেঁচে আছে? ওদের দেখে এবং ওদের সাথে কথা বলে আমার মনে হল, ওদের অনেকে শুধু নেশার টাকাটা জোগাড় করার জন্য কাজটি করে। বাংলাদেশে কোনো সেক্টরে শ্রমিকের সংকট নেই, কিন্তু সংগত কারণেই এক্ষেত্রে আছে।

সেই সুযোগে ওরা নেশার টাকাটি জোগাড় করে নিতে চায়, কারো কারো হয়ত পারিবারীক দায়ও আছে। পাশাপাশি ওরা বলল প্রতারণার কথা। ওয়াসা শ্রমিকের প্রতিদিনের কাজে প্রতি জনের জন্য বরাদ্দ করেছে ৬০০ টাকা, কিন্তু ওদের দেওয়া হয় ৪০০ বা ৫০০ টাকা, বয়স কম হলে তাকে নাকি ২০০ টাকা দেওয়া হয়। অথচ বরাদ্দ থাকে সবার জন্য সমান।

টাকা-পয়সার দিকটি তো আছেই, কিন্তু আরো বড় প্রশ্নটি হচ্ছে সভ্যতার দাবি করছি আমরা এখন কিন্তু এরকমভাবে কিছু মানুষে আমাদের পয়:প্রণালীতে ডুবিয়ে রাখতে হলে সে সভ্যতা সত্যি ভূলুণ্ঠিত হয় মুহূর্তে।