কাড়াপাড়া গণহত্যা

[কাড়াপাড়া] গণহত্যা ১৯৭১: রাষ্ট্র বিস্মৃত হতে চায় যে শোকগাঁথা

শেখ মনিরুল ইসলাম, ৯ বছর বয়সে ওনার পিতা মারা যান, কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধাকালীন পাকিস্তানী বাহিনী ২৪ এপ্রিল বাগেরহাটে প্রবেশ করার পথে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করে, শেখ মনিরুল ইসলামের পিতা তেমনই একজন। এরপর শেখ মনিরুল ইসলামের মা পাঁচ সন্তান নিয়ে পড়েন দুর্বিষহ অবস্থায়, তখনও তিনি সন্তান সম্ভবা, স্বামী মারা যাওয়ার পর…

বিস্তারিত
সরদার আব্দুল জলিল

খারদার সরদার বাড়ি গণহত্যা: নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল দুই কিশোরকে

মুক্তিযোদ্ধা সরদার আব্দুল জলিল অ্যাড. কে না পেয়ে রাজাকারেরা জনাব জলিলের কিশোর বয়সী ভাইপো এবং ভাগ্নে দেলোয়ার হোসেন ও আলতাফ হোসেনকে ধরে নিয়ে যায়। তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শহরের দড়াটানা নদীর ঘাটে, ওখানে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়। বাগেরহাটের রাজাকারেরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার অব্যবহিত পরে একটি হত্যা তালিকা করেছিল। তালিকায়…

বিস্তারিত
বাগেরহাট

বলভদ্রপুর গণহত্যা: রাজাকারেরা হত্যা করেছিল জবাই করে এবং ছুরি মেরে

বাড়িতে ঢুকে গুলি করে তাদের হত্যা করা হয়। টাকা পয়শা কোথায় কি আছে সেটি জানতে চাওয়ার এক পর্যায়ে গুলি করার আগে মতি ঘটকের জিভ কেটে ফেলে দিয়েছিল রাজাকারেরা। বলভদ্রপুর গ্রামটি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলা এবং মোরেলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। গ্রামটি পড়েছে বনগ্রাম ইউনিয়নের মধ্যে। বলভদ্রপুর গ্রামটির অবস্থান কচুয়া উপজেলার শাঁখারিকাঠী গণহত্যাটি যেখানে সংগঠিত হয়েছিল…

বিস্তারিত
বাংলাদেশ

অব্যক্ত বিষাদ ।। সন্ধ্যা নাথ

শশুরবাড়ি যাবার সময় বাবা তানপুরাটা সঙ্গে দিয়ে দিলেন। গান ছাড়া আমার জীবন চলত না। বাগেরহাট থেকে দড়াটানা নদী পেরিয়ে বিলকুল বা পিঙ্গেরিয়া আমার জন্মভূমি, আমার বাপঠাকুরদাদার গ্রাম। মাটির রাস্তার ধারে দিগন্ত জোড়া ধানের মাঠ। শীতের ফসলহীন শূন্যমাঠে খেলার বন্ধুদের নিয়ে ছোটা আর ছোটা, না জিরিয়ে যতদূর যাওয়া যায়। ফেরার পথে খোলা গলায় গান। বর্ষার ঘন…

বিস্তারিত
গণহত্যা

গণহত্যার বর্বরতা: প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ।। বাগেরহাট

১৯৭১ সালে বাগেরহাটে ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। এগুলো ঘটেছিল প্রধানত রাজাকার বাহিনীর দ্বারা। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বাগেরহাটে হত্যা, নির্যাতন লুটপাট ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসে ‍খুবই সাধারণ ঘটনা। মেরে মেরে লাস ফেলা হতো ভৈরব নদীতে। বিস্ময়কর এবং দু:খজনক হচ্ছে সেইসব বর্বর রাজাকারেরা বেশিরভাগ সাধারণ মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকেই তারা সম্পদশালী হয়েছে, রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছে। এই বাংলাদেশে…

বিস্তারিত
আহমেদ শরীফ

গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ: নীলফামারী জেলা

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনি বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলায় ব্যাপক ও বিভৎস গণহত্যা চালায়। পাকিস্তানি বাহিনীর এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও বিহারী সম্প্রদায় এ গণহত্যায় নেতৃত্ব দেয়। গণহত্যার সাক্ষী হয়ে সারা জেলায় আজও দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য বধ্যভূমি ও গণকরব। অনেক বধ্যভূমি বেদখল হয়েছে ভূমিদস্যু এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বিরোধীদের দ্বারা।…

বিস্তারিত
গণহত্যা

’৭১-এর বর্বর গণহত্যার শোকগাঁথা: বিষ্ণুপুর গণহত্যা

বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামেও একটি গণহত্যা ঘটেছিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে। স্থানীয় মনোয়ারা বেগমের উদ্ধৃতিতে জানা যায়— এই গ্রামের প্রায় অর্ধেক লোক হিন্দু । তাই এখানে সবচেয়ে বড় মন্দিরটি ছিল হাটখোলায়। এই মন্দিরের পুরোহিত বাদল ঠাকুর ছিলেন খুবই ধর্মপরায়ণ। দেশের অবস্থা খারাপ হলে তাঁর পরিবারের সকলে ভারত চলে যায়। কিন্তু তিনি মন্দিরেই থেকে গেলেন।…

বিস্তারিত
Genocide

গণহত্যার মর্মস্পর্শী গদ্য: মগিয়া গণহত্যা

বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানা থেকে উত্তর পশ্চিমে মগিয়া গ্রামের অবস্থান। কচুয়া থানার রাজাকার বাহিনী মগিয়া থেকে আরো ২ কিলোমিটার পশ্চিমের ভাসা বাজার থেকে পঁচিশ ত্রিশজন লোককে আটক করে আনে। এদেরকে মগিয়া বাজারের কাছে এনে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের একটি লোমহর্ষক বর্ণনা রয়েছে ‘একাত্তরে বাগেহাট’ বইটিতে। সেদিনের ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া সুনীল ডাকুয়াকে উদ্ধৃত করে বইটিতে…

বিস্তারিত