ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “এখন শিশুরা আনন্দ করার সময়টুকু পায় না, স্কুল ও কোচিং এর চাপ এবং সৃজনশীল পদ্ধতির চাপে শিশুরা শৈশবের আনন্দটুকু পায় না। এখনকার শিক্ষকরা তাদের মর্যাদা পায় না কারণ সমাজে তারা আর্থিক দৈন্যদশার মধ্যে দিনাতিপাত করে। সমাজের ধনী গরীবের বৈষম্য পাকাপোক্ত করতে তিন ধারার শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু রাখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে মাদ্রাসার শিক্ষার প্রভাব লক্ষণীয়। এত সব সমস্যার মূল কারণ নিহিত রয়েছে পুঁজিবাদী ব্যাবস্থার অভ্যন্তরে তা আজ সকলকে বুঝতে হবে। শিক্ষার উদ্দেশ্য প্রকৃত মানুষ তৈরী করা কিন্তু পুঁজিবাদ শুধু নিজের কারণে মানুষকে শিক্ষিত করে। সেই শিক্ষা একজন থেকে আরেকজনকে বিচ্ছিন্ন করে। বর্তমান শিক্ষা আমাদের বালুর মত আলাদা করছে, ঢেউয়ের মত একত্রিত করতে পারছে না। আমরা বালুর মত বিচ্ছিন্ন হব না, ঢেউয়ের মত একত্রিত হব। আন্দোলন ছাড়া এসকল সমস্যা থেকে উত্তোরণের আর অন্য কোন পথ নেই। তিনি অভিভাবকসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে শিশু কিশোরদের বিকাশের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সকাল ১১ টায় শিশু কিশোরদের নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি টিএসসি, কলা ভবন, নজরুল সমাধি হয়ে আবার টিএসসিতে সমাপ্ত হয়। দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান, প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ, চারুকলা, সঙ্গীত, আবৃত্তি, ইতিহাস, সাহিত্য ও লিখন শৈলী, নাট্যকলা, বিতর্ক এবং অভিভাবকদের ছেলে-মেয়ে মানুষ করা প্রসঙ্গে মোট ১০ টি বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সারা দেশ থেকে ৮০ টির অধিক স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা এসকল কর্মশালায় অংশ নেয়। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান প্রজেক্ট ও দেয়ালিকা সহ এসব কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে। সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিশুরা নানান আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক আয়োজন পরিবেশন করে।