এফিলিয়েট মার্কেটিং: অনলাইন মার্কেট প্লেসে কোনো কোম্পানির প্রডাক্ট বিক্রি করা, প্রমোট করার নামই এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে আপনি কোনো পণ্য বানাচ্ছেন না, বরং অন্যদের পণ্য বিক্রীর জন্য একটি প্লাটফরম্ তৈরি করে দিচ্ছেন।
আপনার একটি অলাইন প্লাটফরম থাকতে হবে, যে মাধ্যম থেকে কোনো ভেন্ডর (বিক্রেতার) কোনো পণ্য বিক্রি হলে আপনি কমিশন পাবেন। এটাই সহজ ভাষায় এফিলিয়েটিং মার্কেটিং।
প্রশ্ন হচ্ছে কেন কোম্পানি আপনাকে কমিশন দেবে? কমিশন দেবে কারণ, আপনি প্রডাক্টটি প্রমোট করেছেন এবং আপনার প্লাটফরম থেকে প্রডাক্টটি সম্পর্কে জানতে পেরেই ক্রেতা পণ্যটি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই, ধরা যাক, আজকেরডিল.কম একটি অনলাইন মার্কেট প্লেস, তারা তো পণ্য সরাসরি প্রমোট করেই। পাশাপাশি আপনাকে দায়িত্ব দিল কিছু পণ্য প্রমোট করার জন্য, যা আপনি আপনার ফেসবুক পেজ বা নিজস্ব কোনো ওয়েব সাইটের মাধ্যমে করবেন। সেটিই মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং।
প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি প্রমোট করলেন, তাহলে পণ্যটি কে দেবে?
পণ্যটি দেবে যে কোম্পানির পণ্য তারাই, অর্ডারটি নেবে আজকেরডিল.কম।
এরপর কমিশন ভাগাভাগি হবে। ধরা যাক আপনি সনি কোম্পানির একটি ক্যামেরা কিনেছেন, যেটি আপনার বাসায় পৌঁছে দিয়ে গেছে খন্দকার ইলেকট্রনিক্স নামে একটি দোকান থেকে।
এখন পণ্যটির দাম যদি ৩০০০০ টাকা হয়। তাহলে কিছু টাকা, ধরা যাক ১০০০ টাকা পাবে আজকেরডিল.কম। সেখান থেকে হয়ত ৫০০ টাকা আপনি পাবেন প্রমোটার বা এফিলিয়েটর হিসেবে।
প্রশ্ন করতে পারেন, এফিলিয়েটিং মার্কেটিং এর কোনো বাস্তব উদাহরণ আছে কিনা? অবশ্যই আছে।
আমাজন.কম, ইবে.কম কিংবা ক্লিকব্যাংক.কম এর নাম অবশ্যই শুনেছেন। ভেন্ডর রা তাদের কাছে পণ্য জমা দেয় বিক্রির জন্য। তারা পণ্যগুলো নিজেরা বিক্রির পাশাপাশি এফিলিয়েটরদের সাহায্য নেয়।
ক্লিকব্যাংক এবং এরকম সাইটগুলো তো পুরোটাই বিক্রি করে আমাদের মতো এফিলিয়েট মার্কেটারদের মাধ্যমে।
কমিশন নির্ভর করে পণ্যের ক্যাটাগরির উপর। বিজ্ঞাপন নির্ভর পণ্যগুলোতে কমিশন বেশি পাওয়া যায়।
চেষ্টা করে দেখতে পারেন। পরিশ্রম, প্রযুক্তি এবং মেধার সমন্বয়ে উপার্জন আসবে। শতভাগ সৎ এবং পরিশ্রম নির্ভর উপার্জন। ডলারে ইনকাম হওয়ার বেশ ভালো উপার্জন হতে পারে এক্ষেত্রে।