প্রিন্স বাজারের পাতা ফাঁদেই জাতি পা দিল, ওরা বিনা পয়শায় কোটি টাকার প্রচার ছিনিয়ে নিলো

বাংলাদেশ

ঢাকা, মিরপুর

দেশের কয়জনে আগে প্রিন্স বাজার নামে এই শপিং মলটাকে চিনতো? চিনতো না, কিন্তু এখন চেনে, কেন চেনে? একটা বিতর্কিত বিজ্ঞাবন তৈরি করে তারা সেই চেনানোর কাজটি করে নিয়েছে। এটা তাদের না বোঝার কথা নয় যে এ ধরনের বিজ্ঞাপন বিতর্ক তৈরি করবে। তারপরেও সম্ভবত বুঝেশুনেই তারা এটি করেছে। এবং খুভ লাভবানও হয়েছে। যে প্রচারটা তারা পেয়েছে সেটি অবিশ্বাস্য। পাওয়ারই কথা, বিপরীতটা করলেও তারা একই রকম প্রচার পেত, কিন্তু সেক্ষেত্রে কাঁধে মাথা থাকতো না, ব্যবসাটাও বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের লাভ হয়েছে, বেঁচাবিক্রি নিঃসন্দেহে বেড়েছে। 

প্রশ্ন হচ্ছে, জাতি কেন তাদের পাতা ফাঁদে পা দিলো? পাল্টা প্রশ্ন হচ্ছে, কেন পা দিবে না? হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে জাতি তো ফাঁদে পা দেওয়ার লেভেলেই আছে। ঠিকমতো ফাঁদ পাততে পারলে ব্যবসায়ীক ফায়দা নিতে পারাটা তাই এদেশে কঠিন কিছু নয়। প্রিন্স বাজার সেই ফায়দাটাই নিয়েছে। 

ফেসবুকে এখন ভাসছে প্রিন্স বাজারের এই বিজ্ঞাপন। পক্ষে বিপক্ষে মতামত। প্রকৃতপক্ষে এই বিজ্ঞাপনে অসুবিধার কিছু নেই, দোষের কিছু নেই, কিন্তু সমস্যাটা অন্যখানে—সেই সমস্যার জায়গাটিই সণাক্ত করছে অনেকে। তাদের বক্তব্য, যদি বিজ্ঞাপনটা একটু ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে প্রতিক্রিয়াটা কি হবে? 

আমি যেটা বুঝি—সেক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন সে বিবেচনায় এই বিজ্ঞাপনটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। যদি ধর্মনিরপেক্ষ এবং উদার ভাবনা থেকে প্রিন্স বাজার এই বিজ্ঞাপনটা করে থাকে তাহলে কোনো প্রশ্ন ছিল না, কিন্তু তারা কি তাই করেছে আসলে? যদি প্রিন্স বাজারের মালিক পক্ষ সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয় তাহলে তাদের যে পরিচয় মিলবে সেটি কি ধর্ম নিরপেক্ষ উদার পরিচয়? 

ফেসবুক থেকে কয়েকটি ট্রল:

আর্কিটেক্ট

বাংলাদেশ

 

বাংলাদেশ

প্রিন্স বাজার

Mirpur